লাউডস্পিকারে আজান দিতে অনুমতি নিতে হবে মহারাষ্ট্রে | Daily Chandni Bazar লাউডস্পিকারে আজান দিতে অনুমতি নিতে হবে মহারাষ্ট্রে | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:২৮
লাউডস্পিকারে আজান দিতে অনুমতি নিতে হবে মহারাষ্ট্রে
অনলাইন ডেস্ক

লাউডস্পিকারে আজান দিতে অনুমতি নিতে হবে মহারাষ্ট্রে

ভারতের মহারাষ্ট্রে মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার জন্য অনুমতি নিতে হবে। ওই রাজ্যের জামিয়াত-উলামা-ই-হিন্দ ইউনিট সব মসজিদের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা যেন লাউডস্পিকার ব্যবহারের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেন।

সোমবার ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের ওপর আদালতের আগের আদেশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র বিভাগ। যে কোনো ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে অনুমতি নিতে হবে। এ বিষয়টি বাধ্যতামূলক করবে রাজ্য সরকার।

এ বিষয়ে জামিয়াত-উলামা-ই-হিন্দ মহারাষ্ট্র ইউনিটের সেক্রেটারি গুলজার আজমি বলেন, লাউডস্পিকার ব্যবহারের জন্য বেশিরভাগ মসজিদগুলোই ইতোমধ্যেই পুলিশ বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু যারা এখনও অনুমতি নেয়নি তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মসজিদে আজানের সময় লাউডস্পিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, এই রাজ্যের পুলিশ খুবই সহযোগিতা করছে। তারা মসজিদগুলোকে লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে। মহারাষ্ট্র সরকার যেভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে তার প্রশংসা করেছেন গুলজার আজমি। তিনি বলেন, সবার জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে রাজ্য সরকার।

সম্প্রতি মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে। মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না বলে দাবি করেন তিনি। রাজ ঠাকরে জানান, কোনো ধর্মের প্রার্থনা করার বিপক্ষে নন তারা। তবে মসজিদে জোরে লাউডস্পিকার বাজানোর বিরোধী তারা।

তিনি বলেন, আমরা মহারাষ্ট্রে দাঙ্গা চাইনা। প্রার্থনা করতে কেউ আপনাদের মানা করেনি। যে সব মসজিদে বেআইনিভাবে লাউডস্পিকার বসানো হয়েছে সেগুলো যেন খুলে ফেলা হয়। আপনারা যদি লাউডস্পিকার বাজিয়ে প্রার্থনা করেন, তবে আমরাও লাউডস্পিকার ব্যবহার করব। মুসলিমদের বোঝা উচিত, আইনের ঊর্ধে ধর্ম নয়।

এর আগে তিনি বলেন, দেশের সব হিন্দু ভাইদের বলবো তৈরি হন। ৩ মে’র পর দেশের কোনও মসজিদে লাউডস্পিকার বাজলে, মসজিদের সামনেই আমরা হনুমান চালিশা পড়ব। প্রয়োজনে দিনে পাঁচবার লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা বাজাব।

তার এমন বক্তব্যের কারণে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মসজিদে লাউডস্পিকার বাজানো যাবে না। লাউডস্পিকার বাজানোর জন্য বিশেষ অনুমতি নিতে হবে বলে জানানো হয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন