কোভিড মোকাবিলায় উ. কোরিয়ায় সেনা মোতায়েন | Daily Chandni Bazar কোভিড মোকাবিলায় উ. কোরিয়ায় সেনা মোতায়েন | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২২ ১৪:৫১
কোভিড মোকাবিলায় উ. কোরিয়ায় সেনা মোতায়েন
অনলাইন ডেস্ক

কোভিড মোকাবিলায় উ. কোরিয়ায় সেনা মোতায়েন

করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণার কয়েক দিন পর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবার পিয়ংইয়ংয়ে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন কিম।

এর আগে, গত বুধবার (১১ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা সংক্রমণের কথা স্বীকার করে উত্তর কোরিয়া। পরদিন বৃহস্পতিবার দেশটিতে লকডাউন জারি করা হয়।

এদিকে, উত্তর কোরিয়ায় করোনা প্রাদুর্ভাবের পর বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়ায় ওষুধের সীমিত সরবরাহ, প্রয়োজনীয় টেস্টের অভাব এবং কোনো ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম না থাকায় ভাইরাসটি ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

কেসিএনএর সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, দেশটিতে আরও ৩ লাখ ৯২ হাজার ৯২০ জনের করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে উপসর্গ থাকা কতজন করোনায় আক্রান্ত তা উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটিতে ১০ লাখেরও বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ কিম জং উনের প্রশাসন কয়েকদিন আগ পর্যন্তও উত্তর কোরিয়াকে করোনাভাইরাস মুক্ত বলে জোর প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।

রোববার (১৫ মে) এক জরুরি বৈঠকে, কিম জং উন মন্ত্রিসভা ও জনস্বাস্থ্য খাতকে দায়িত্বহীন আখ্যা দিয়ে তাদের কাজের ধরন ও কৌশলের সমালোচনা করেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ ও জনস্বাস্থ্য খাতের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কিম বলেন, বর্তমান সংকট মোকাবিলায় আপনারা শুধু নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের সেবা করার কথা বলছেন। অথচ বাস্তবে আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না।

বৈঠকে কিম আরও বলেন, সরকার জাতীয়ভাবে মজুদকৃত ওষুধ বিতরণের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও ফার্মেসিগুলো সময়মত ও সঠিকভাবে রাজ্যের জনগণের কাছে সেগুলো পৌঁছাতে পারছেনা।

এ সময় কিম পিয়ংইয়ং শহরে শিগগির ওষুধ সরবরাহ স্থিতিশীল করার জন্য সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী দল মোতায়েন করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ওষুধ সরবরাহ ও বিক্রয় সম্পর্কে জানতে পিয়ংইয়ংয়ের তাইডং নদীর কাছে অবস্থিত ফার্মেসি পরিদর্শন করেন তিনি।

উত্তর কোরিয়া বলছে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা ও ওষুধ গ্রহণে অসতর্কতার কারণে এখন পর্যন্ত দেশটিতে বেশি সংখ্যক লোকের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তর কোরিয়া করোনা মহামারির শুরু থেকেই কঠোর অবরোধ বজায় রেখেছিল। কিন্তু দেশটির আর শেষ রক্ষা হলো না। বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কোরিয়ার জন্য করোনা মোকাবিলা বেশ কঠিন হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন