দুপচাঁচিয়ায় স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ॥ অপহৃতা উদ্ধার | Daily Chandni Bazar দুপচাঁচিয়ায় স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ॥ অপহৃতা উদ্ধার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২২ ০২:১০
দুপচাঁচিয়ায় স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ॥ অপহৃতা উদ্ধার
দুপচাঁচিয়া(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

দুপচাঁচিয়ায় স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ॥ অপহৃতা উদ্ধার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় এক স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় অপহরণকারী শাহীনুর আলম(২০)কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত শাহীনুর দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার হামিদুর রহমানের ছেলে। সেই সঙ্গে পুলিশ অপহৃতাকেও উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় অপহৃতার মা বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় গতকাল সোমবার সকালে শাহীনুর আলম সহ ৪জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। 
থানা সূত্রে জানা যায়, দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার ডিমশহর মহল্লার বাদীর মেয়ে(১২) স্থানীয় স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। সে স্কুলে যাওয়া আসার সময় একই মহল্লার শাহীনুর রাস্তাঘাটে তাকে উত্ত্যক্ত করা সহ প্রেমের প্রস্তাব ও লোভ লালসার প্রলোভন দিয়ে আসছিল। ওই ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তার মাকে বিষয়টি জানায়। মা এ বিষয়টি শাহীনুরের পরিবারকে জানালে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনারদিন গত ১৮মে সকাল আনুমানিক পৌনে ন’টার সময় ওই ছাত্রী নিজ বাড়ি হতে স্কুলে যাবার সময় ডিমশহর দক্ষিনপাড়ার জনৈক ইদ্রিস এর বাঁশ ঝাড়ের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছিলে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক শাহীনুর তার সহযোগীদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে তাদের ধাওয়া করে আটক করতে পারেনি।  
দুপচাঁচিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আব্দুর রশিদ সরকার বলেন, ভিকটিমের মায়ের মামলা দায়েরের পরপরই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বগুড়া সদর থানাধীন নামুজা এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী শাহীনুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শাহীনুরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন