কুরবানি ঈদে পশু জবাই ও মাংস কাটার অস্ত্র তৈরি করা নিয়ে ব্যস্ত কামার পাড়ার কামাররা | Daily Chandni Bazar কুরবানি ঈদে পশু জবাই ও মাংস কাটার অস্ত্র তৈরি করা নিয়ে ব্যস্ত কামার পাড়ার কামাররা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৪ জুন, ২০২২ ২১:৫০
কুরবানি ঈদে পশু জবাই ও মাংস কাটার অস্ত্র তৈরি করা নিয়ে ব্যস্ত কামার পাড়ার কামাররা
দুপচাঁচিয়া(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

কুরবানি ঈদে পশু জবাই ও মাংস কাটার অস্ত্র তৈরি করা নিয়ে ব্যস্ত কামার পাড়ার কামাররা

সামনে আর কয়েকদিন পরেই কুরবানির ঈদ। এ ঈদে পশু জবাই করাই হলো মূল উদ্দেশ্য। পশু জবাইয়ের কাজে ধারালো অস্ত্র তৈরি করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কামাররা। আর লোহার তৈরি ধারালো ভাল মানের অস্ত্র বানানোর জন্য বেশ নাম রয়েছে দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার কামারপাড়ার। 
দুপচাঁচিয়া উপজেলার কামারপাড়ার শুরুতেই দেখা যায় চেইন টেনে হাঁপড় থেকে বাতাস দিয়ে কয়লাতে আগুন জ্বালিয়ে তার মধ্যে লোহা দিয়ে লাল করছেন। ওই তপ্ত লাল লোহাতে  হাতুর পিটিয়ে পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য ছোটদা, রামদা, হাসুয়া, চাকু, বটি, ছুরি এবং কৃষি যন্ত্রাংশের মধ্যে কোদাল, কাঁচি তৈরি করছেন। কয়েক হাত পর পর একই ভাবে পশু জবাইয়ের অস্ত্র ও কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরির কাজে ব্যস্ত কামাররা। এ মহল্লার প্রায় ৩২টি পরিবার এ কাজ করে জীবিকা চালান। কবে বা কতদিন আগে থেকে তাঁরা এ পেশায় নিয়োজিত  তার সঠিক দিনক্ষণ বলতে পারেননা তাঁরা। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাঁদের লোহা পিটানোর কাজ। তবে কুরবানি ঈদে তাঁদের কাজের পরিধি বেড়ে যায়। কুরবানী ঈদের কারনে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনের ভিড় দেখা যায়। এর মধ্যে চলে কালি মাখা গায়ে ওঁদের মাঝে মধ্যে নাস্তা, দুপুরের খাবার। এঁদের মধ্যে যাদের পুঁজি কম তাঁরা পাইকারদের কাজের অর্ডার নিয়ে কাজ করেন। তবে বেশির ভাগ কামাররা নিজের পুঁজি দিয়েই কাঁচামাল (লোহা) কিনে মালামাল তৈরি করে সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন আবার স্থানীয় হাটবাজারেও খুচরা বিক্রি করে থাকেন। আগের তুলনায় কাঁচামালের (লোহার) দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় পুঁজি লাগে বেশি। 
কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে শ্যামল কর্মকার বলেন, সারা বছরই কমবেশি কাজ হয়ে থাকে। তবে কুরবানীর ঈদ মৌসুমে কাজের চাপ একটু বেশি হয়। তবে এবার লোহার দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বেশি বলতে হচ্ছে। 
দা তৈরি করতে আসা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরই কোরবানীর ঈদের সময় দা, ছুরি মেরামত ও সান দিতে আসি। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি হওয়ায় এবার এসবের মূল্যও বেড়ে গেছে। 

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন