লঞ্চে যাত্রী কমেছে ৫০ শতাংশ, তেলের খরচও উঠছে না! | Daily Chandni Bazar লঞ্চে যাত্রী কমেছে ৫০ শতাংশ, তেলের খরচও উঠছে না! | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১ জুলাই, ২০২২ ১১:০০
লঞ্চে যাত্রী কমেছে ৫০ শতাংশ, তেলের খরচও উঠছে না!
অনলাইন ডেস্ক

লঞ্চে যাত্রী কমেছে ৫০ শতাংশ, তেলের খরচও উঠছে না!

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের রাজধানীর সঙ্গে যাতায়াতের অন্যতম বাহন ছিল নৌযান। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দেখা গেছে একবারেই ভিন্ন চিত্র। বেড়েছে সড়ক পথে যাতায়াত করা যাত্রীর সংখ্যা। এরই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নৌযানগুলোতে। বিশেষ করে লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে ভাটা পড়েছে। অনেকে নৌযানের বিকল্প ব্যবহারের পথ খুঁজছে বলে জানা গেছে।

একাধিক লঞ্চ মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে নৌযান উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী কমেছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলগামী নৌযানে বেশি প্রভাব পড়েছে। সময় ও টাকা দুটোই সাশ্রয় হওযায়, নৌযানের যাত্রীরা নদী পথ ছেড়ে সড়ক পথে যাতায়াত করছেন। ফলে অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন নৌযান মালিকরা। অনেক ক্ষেত্রে নৌযানগুলোর তেলের খরচও উঠছে না।

নৌযান মালিক (যাত্রী পরিবহন) সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. বদিউজ্জামান খান বাদল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পদ্মাসেতু বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রতীক। কিন্তু এটি হওয়ার কারণে ইতোমধ্যে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ যাত্রী কমেছে নৌযানগুলোতে। যাত্রীরা যেভাবে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য মনে করছেন সেভাবেই যাচ্ছেন। তবে নৌযান মালিকদের দিকে সরকারের নজর দেয়া প্রয়োজন বলেও মতামত দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, খরচ পোষাতে লঞ্চ মালিকদের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। ফলে অনেকে কম টাকা নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন। তার পরেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। খালি নৌযান নিয়েই ছেড়ে যেতে হচ্ছে।

রাবেয়া শিপং লাইন্সের স্বত্তাধিকারী শহিদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে লঞ্চে যাত্রী ৫০-৬০ শতাংশ কমেছে। অনেক সময় তেলের খরচও উঠছে না। প্রতি ট্রিপে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে লাখ টাকা।

তিনি আরো বলেন, আর্থিক ক্ষতির ফলে ব্যাংক লোন পরিশোধ করা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। অনেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে বিকল্প আয়ের কথা ভাবছেন। তিনি এরই মধ্যে একটি ভাসমান রেস্তোরাঁ করার কথাও ভাবছেন।

সদরঘাট নৌবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির জানান, গত ৫ দিনে নৌযাত্রী যেমন কমেছে, তেমনি নৌযান ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যাও কমেছে। পদ্মাসেতু চালুর আগে যেখানে ৭৫টি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও এখন ছেড়ে যাচ্ছে ৬০- ৬৫টি লঞ্চ। যাত্রীরও নেই চাপ। তবে অচিরেই একটা খারাপ প্রভাব পড়বে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর, অনেকেই শখ করে পদ্মা সেতু দেখতে যাচ্ছেন। সামনে ঈদ আছে। ঈদের পরে বোঝা যাবে পদ্মা সেতু এই সেক্টরে কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন