ফুটবলে সেন্সর, বিশ্বকাপে অফসাইড ধরতে নতুন প্রযুক্তি | Daily Chandni Bazar ফুটবলে সেন্সর, বিশ্বকাপে অফসাইড ধরতে নতুন প্রযুক্তি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২ জুলাই, ২০২২ ১১:০২
ফুটবলে সেন্সর, বিশ্বকাপে অফসাইড ধরতে নতুন প্রযুক্তি
অনলাইন ডেস্ক

ফুটবলে সেন্সর, বিশ্বকাপে অফসাইড ধরতে নতুন প্রযুক্তি

 

প্রযুক্তিগত দিক থেকে ইতিহাস গড়তে চলেছে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপ। ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ হিসেবে কাতারে অফসাইড ধরতে ব্যবহৃত হবে নতুন প্রযুক্তি। এ ‘সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি’তে বিশ্বকাপের বল ‘আল রিহলা’তেও লাগানো থাকবে সেন্সর।

শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে অফসাইডের জন্য ব্যবহার হতে যাওয়া এ প্রযুক্তির বিস্তারিত জানিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। গত বছর ক্লাব বিশ্বকাপ ও ফিফা আরব কাপে সফল ব্যবহারের পর এবার বিশ্বকাপেও এটি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্টেডিয়ামের ছাদে বসানো থাকবে ১২টি অত্যাধুনিক ট্র্যাকিং ক্যামেরা। যেগুলো একেকজন খেলোয়াড়ের ২৯টি ভিন্ন ও নিখুঁত তথ্য সেকেন্ডে ৫০ বার করে পাঠিয়ে দেবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির কাছে। যা তিনি মাঠের রেফারিকে জানানোর মাধ্যমে অল্প সময়েই অফসাইডের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

সিদ্ধান্ত নিখুঁত করতে বিশ্বকাপের বল আহ রিহলায় থাকবে আরেকটি ইনারশিয়াল মেজারমেন্ট ইউনিট সেন্সর। যা প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার করে তথ্য পাঠাবে ভিএআর কক্ষে। সব তথ্য একত্রিত করে অফসাইডের সিদ্ধান্ত জানাতে সময় লাগবে মাত্র ২৫ সেকেন্ড। যা আগে লাগতো গড়ে ৭৫ সেকেন্ড করে।

এছাড়া দর্শকদের আরও জীবন্ত অভিজ্ঞতা দিতে মাঠে থাকা থ্রিডি অ্যানিমেশন জায়ান্ট স্ক্রিনেও দেখানো হবে প্রযুক্তির সাহায্যে নেওয়া অফসাইডের সিদ্ধান্তের পুরো অবস্থা। এতে করে মাঠে উপস্থিত দর্শকরাও পাবেন আগের চেয়ে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

এ বিষয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজিটি ভিএআর সিস্টেমে একটি যুগান্তকারী সংযোজন। প্রায় তিন বছর ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এটির কার্যকরিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই কাতার বিশ্বকাপে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপের খেলা। উদ্বোধনী দিনে রয়েছে তিনটি ম্যাচ। স্বাগতিক কাতার খেলবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। এছাড়া নেদারল্যান্ডস-সেনেগাল ও ইংল্যান্ড-ইরান ম্যাচও হবে সেদিন। জমজমাট এ আসরের পর্দা নামবে ১৮ ডিসেম্বর।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন