
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বিগত বছরগুলোতে অব্যবস্থাপনা থাকলেও এবার সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। তবে গরুর চামড়া বিকিকিনি হলেও ছাগলের চামড়ার তেমন কদর নেই। যেসব চামড়ার আড়ৎদাররা চামড়া কিনেছেন তারা সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চামড়ায় লবণ দেওয়া শেষ করে মজুত করে রেখেছেন।
পটুয়াখালী শহরের হেতালিয়া বাঁধ ঘাট এলাকার চামড়ার আড়ৎদার দুলাল মিয়া বলেন, চামড়া কেনার ক্ষেত্রে অনেকটা সতর্ক থাকতে হয়েছে। এবার ৮শ পিস চামড়া কিনেছি ৪শ থেকে ৫শ টাকার মধ্যে। এছাড়া ছাগলের চামড়া কিনেছি ২০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। তবে বিগত বছরের থেকে এবার লবণের দাম বেশি। এ কারণে চামড়া প্রস্তুত করতে খরচ বেড়েছে।
এদিকে বিগত বছরগুলোতে চামড়া কেনার জন্য মৌসুমী ব্যবসায়ীদের আনাগোনা থাকলেও এবার কোনো মৌসুমী ব্যবসায়ীকে চামড়া কিনতে দেখা যায়নি। এজন্য কোরবানি দেওয়া ব্যক্তিরা এবার বিভিন্ন মসজিদ, এতিমখানা কিংবা মাদরাসায় চামড়া দান করেছেন। আর এসব প্রতিষ্ঠান থেকেই চামড়া কিনেছেন আড়ৎদাররা।
কোরবানির চামড়া নিয়ে যাতে কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে কারণে আগে থেকেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চামড়া ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, পশুর চামড়া একটি জাতীয় সম্পদ। কোনো অবস্থাতেই এটি যাতে নষ্ট না হয় এবং সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারে সেজন্য আগে থেকেই সার্বিক বিষয়ে সবাইকে সচেতন এবং সতর্ক করা হয়েছে।
তবে উৎপাদনমুখী শিল্পের বিভিন্ন কাঁচামালের দাম বাড়লেও সে অনুপাতে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম না বেড়ে উল্টো কমেছে। এ কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
শহরের আদালত পাড়া এলাকার বাসিন্দা আতিকুল ইসলাম বলেন, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির টাকা এতিম, মিসকিন কিংবা দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারলে এসব মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন