শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির মানুষ | Daily Chandni Bazar শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির মানুষ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৫ আগস্ট, ২০২২ ১৪:৫৭
শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির মানুষ
অনলাইন ডেস্ক

শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির মানুষ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শহীদ শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির মানুষ। আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি দেশের ক্রীড়াজগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ব্যক্তিগত প্রজ্ঞা ও নিজস্ব ক্রীড়া ভাবনায় এদেশে আধুনিক ফুটবলের পথিকৃৎ তিনি। খেলাধুলার সব শাখাতেই ছিল তার মুন্সিয়ানার ছাপ।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তৃতীয়বারের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি বলেন, শহীদ শেখ কামাল দেশের খেলাধুলা ও সংস্কৃতি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। পড়াশোনা, সংগীতচর্চা, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টায় স্বাধীনতার পর শেখ কামাল বন্ধুদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ এবং আধুনিক সংগীত সংগঠন ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও নাট্যাঙ্গনে তিনি ছিলেন সুপরিচিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ক্রীড়া সংগঠক।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের অগ্রযাত্রা অনেকটাই স্থিমিত হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ক্রীড়ানুরাগী, সংস্কৃতিমনা, তারুণ্যদীপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে অংশগ্রহণ করেছেন। কীর্তিমান এ তরুণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ ক্রীড়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত বছর থেকে ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ পুরস্কার ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও উৎসাহিত করবে এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে চলমান অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন