উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৯ ঘনিষ্ঠজনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ | Daily Chandni Bazar উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৯ ঘনিষ্ঠজনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৪১
উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৯ ঘনিষ্ঠজনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ
অনলাইন ডেস্ক

উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৯ ঘনিষ্ঠজনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (খুকৃবি) উপাচার্য শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৯ ঘনিষ্ঠজনের নিয়োগ বাতিল করতে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়নি, মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এমনটিই জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, অনিয়ম-স্বজনপ্রীতি করে নতুন এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে নিজের ছেলে-মেয়ে, শ্যালক-শ্যালিকার ছেলে এবং ভাতিজাকে নিয়োগ দেন উপাচার্য শহীদুল রহমান খান। সব মিলিয়ে উপাচার্য নিজের পরিবারের সদস্য-আত্মীয়দের মধ্যে নয়জনকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি তার স্ত্রীকেও অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগে অনিয়মের এমন চিত্র বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হলেও দীর্ঘ দিন তা আটকে থাকার পর উপাচার্যের স্বজনদের চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মো. মাহমুদুল আলমের সই করা এক চিঠিতে উপাচার্যকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ‘বিষয় বিশেষজ্ঞ’ ছাড়া একই ব্যক্তিদের দিয়ে বাছাই বোর্ড গঠন করে ২০টি বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এসব বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ চিঠি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

২০১৫ সালে জাতীয় সংসদে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উপাচার্য হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুর রহমান খানকে নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বিষয়ে ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিলেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। কমিটি গঠনের এক বছরের বেশি সময় পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ-সচিব মো. মাহমুদুল আলম সোমবার বলেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমরা রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন