ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা | Daily Chandni Bazar ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৫০
ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা
অনলাইন ডেস্ক

ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা

কয়েকঘণ্টার ভারি বৃষ্টিতে ফের সিলেট মহানগরের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে নগরের নিচু এলাকার রাস্তাঘাটের পাশাপাশি বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। সেইসঙ্গে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সিলেট শহরের বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর।

নগরের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভ্যন্তরে, লামাবাজার, মিরেরময়দান, শিবগঞ্জ, সেনপাড়া, সোনাপাড়া, শাহজালাল উপশহর, মেন্দিবাগ, তোপখানা, কাজলশাহ, লালাদীঘির পাড়, আম্বরখানা এলাকায় অতিবৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।

ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টির ফলে বাসাবাড়ি ও সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কয়েকটি সড়কে এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে।

ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাতের বেলা এমন জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েন নগরের নিচু এলাকার বাসিন্দারা। ভোগান্তি কম ছিল না ব্যবসায়ীদেরও। বিভিন্ন বাসার নিচতলা পানিতে প্লাবিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাসিন্দারা খাটের ওপর তুলে রাখেন। অনেক বাসা ও দোকানের মেঝেতে থাকা জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হয়েছে।

নগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পায়রা এলাকার বাসিন্দা প্রকাশক রাজীব চৌধুরী বলেন, মধ্যরাতে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে পায়রা এলাকায় রাত থেকেই পানি জমে। অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ওঠে। দুপুরের পর সে পানি নেমে গেছে। তবে রাতভর স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পায়রা এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অথচ এর কোনো সমাধান সিটি করপোরেশন করছে না। এ অবস্থায় স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি দূর হচ্ছে না।

নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের লালাদীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা সুবল সিংহ বলেন, টানা বৃষ্টিতে লালাদীঘির পাড় সড়ক ডুবে গেছে। এলাকায় কিছু বাসার ভেতরে পানি প্রবেশ করে।

নগরের সুরমা নদী সংলগ্ন এলাকা মেন্দিবাগ, কুশিঘাট, তোপখানা, কালীঘাট, শেখঘাট এলাকায় দেখা গেছে, নদীর পানি ভরাট অবস্থায় রয়েছে। পানি আরও বাড়লে ওই এলাকাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করবে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি, তবে নদীর পানি বাড়ছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, নগরে পানি ঘণ্টা দুয়েক ছিল। এরপর নেমে গেছে। পানি নামার জন্য এইটুকু সময় দিতে হবে।

রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অবিশ্বাস্য। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। তাছাড়া হাওর ও নদী ভরাট হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে টিলা থেকে বালু নেমেও ড্রেন ও ছড়া ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানি নামবে কোনদিকে।

নিজেদেরও ব্যর্থতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ড্রেনের পানি নামার মুখগুলো হয়তো আমরা সবসময় তদারকি করতে পারি না। পানি নামার লিংকগুলোও সবসময় তদারকি করা হয় না। ফলে দোষ সবারই আছে। তবে সবচেয়ে বড় কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন