
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার চক্ষু হাসপাতালের পেছনে সংকোচিত হয়ে পড়া বোয়ালিয়া শ্মশান দখলমুক্ত হতে যাচ্ছে। অর্ধশত বছর পর পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে শ্মশাননামীয় ৫১ শতক জমির মালিকানা ফিরে পাচ্ছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌর কার্যালয়ে দখলদার চক গোবিন্দ গ্রামের রাধাকান্ত মহন্ত'র ছেলে অমূল্য চন্দ্র মহন্ত বনাম পুরাতন বন্দর-বোয়ালিয়া হিন্দুপাড়া এবং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শালিসী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফির উপস্থিতিতে দীর্ঘদিনের বিবাদমান বিষয়টি নিষ্পত্তিতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়। সিএস, এসএ ও বিআরএস খতিয়ানে উল্লেখিত শ্মশাননামীয় ৫১ শতক জমি পুনরুদ্ধারে আগামী শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা চিহ্নিতকরণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হবে।
সিএস ও এস এ খতিয়ানমূলে জানা যায়, মহারাজা স্যার প্রদ্যোৎকুমার ঠাকুর বাহাদুর কেটি সূত্রে রায়তি হরেকৃষ্ণ, অধীরচন্দ্র ও সুধীরচন্দ্র বৈঞ্চব; পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের কালেক্টরের সূত্রে রায়তি রেকৃষ্ণ বৈঞ্চ, সুরেন্দ্র নাথ, বিনেন্দ্র নাথ মহন্ত এবং সবশেষে খতিয়ান নং-৩১, বোয়ালিয়া মৌজার জে.এল নং ২৪১, যার রেসার্ভে নং ২৪৫.২৫৭ তে রাধাকান্তর ছেলে অমূল্য চন্দ্র মহন্তর ৩০৩১ নং দাগে শ্মশান এর ৫১ শতক জমি উল্লেখ থাকে। যা অমূল্য চন্দ্র নিজ দখলে স্বত্বভোগ করত।
শালিসে উপস্থিত পুরাতন বন্দর ও বোয়ালিয়া হিন্দুপাড়ার জনসাধারণ জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকে চক্ষু হাসপাতালের পেছনের বোয়ালিয়া শ্মশানটি সংকোচিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এখানে শব দাহে বাধার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময় শালিসী বৈঠকেও এটি অমিমাংসিত থেকে যায়। বর্তমানে আমরা মানবিক মেয়র মুকিতুর রহমান রাফির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা শেষে বিষয়টির মিমাংসা করেন। যা আগামী শনিবার সার্ভেয়ার দিয়ে ৫১ শতাংশ জমির সীমানা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে আমাদের হিন্দু সমাজের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হল।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন