গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে অভিযান ট্রাক্টরে রহস্যজনক আগুন | Daily Chandni Bazar গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে অভিযান ট্রাক্টরে রহস্যজনক আগুন | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২২:২৬
গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে অভিযান ট্রাক্টরে রহস্যজনক আগুন
প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
ষ্টাফ রিপোর্টার

গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে অভিযান
ট্রাক্টরে রহস্যজনক আগুন

বালু দস্যু ও বালু পরিবহনের কাজে নিয়োজিত এমপিথ্রি (কাঁকড়া) শ্রমিক-মালিকরা গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়ক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবৈধ সড়ক অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য হয় বালু দস্যু ও পরিবহনে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান অভিযান শেষের কয়েক ঘণ্টা পর অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা দুটি এমপিথ্রিতে আগুন লাগায় এবং কয়েকটি এমপিথ্রিতে ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় বালু দস্যু ও পরিবহন সেক্টরে জড়িত ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করে সড়ক অবরোধ করলে সড়কের উভয় পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পরে। সন্ধ্যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অবরোধকারীরা তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে এবং অবরোধ তুলে নেন।
অবরোধ চলাকালে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের শিকার বলে অভিযোগ তোলেন। তারা জানান, ড্রাম ট্রাকে মহিমাগঞ্জ ও ধর্মপুর (কাজলা) থেকে নিবিঘ্নে বালু পরিবহন চলমান রয়েছে। তারা মহাসড়ক ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলায় বালু পরিবহন করছে। আমরা এমপিথ্রি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ কাজের প্রয়োজনে বালু পরিবহন করি। তারা পুরো উপজেলা থেকে বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের আহবান জানান।
এলাকাবাসী জানায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চকরহিমাপুর গ্রামে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযানে আসে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ বিন শফিক এর নেতৃত্বে একটি দল। এ সময় বালু ব্যবসায়ী ও পরিবহণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। প্রশাসনের লোকজন তৎক্ষণাত ফিরে গেলে বেশ পরে কে বা কারা ষড়যন্ত্রমূলক দুটি ট্রাক্টরে আগুন দেয়।
বিষয়টিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফ হোসেন জানান, বেলা ২টার দিকে অবৈধ বালু উত্তোলনের চকরহিমাপুর পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখানে কাউকে না পাওয়ায় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত শ্যালো মেশিন, পাইপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙ্গে ধ্বংস করা হয়। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়নি। অভিযানের বিষয়টি তখনই জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসার অনেক পরে ট্রাক্টরে আগুন দেয়ার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর ঘটনার ৩ ঘন্টা পর মহাসড়ক অবরোধের বিষয়টিও রহস্যজনক। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন