গাবতলীতে হাজারো মানুষের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হলো দুটি এনজিও | Daily Chandni Bazar গাবতলীতে হাজারো মানুষের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হলো দুটি এনজিও | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৫৯
গাবতলীতে হাজারো মানুষের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হলো দুটি এনজিও
গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি :

গাবতলীতে হাজারো মানুষের কোটি কোটি
টাকা নিয়ে উধাও হলো দুটি এনজিও

বগুড়ার গাবতলীতে হাজারো মানুষের প্রায় ৭কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে দুটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা এনজিও প্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ করেছে। 
জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার দূর্গাহাটা গ্রামের মৃত ভুলু মন্ডলের ছেলে মতিউর রহমান মতি ২০০৯সালে সমাজ সেবা মন্ত্রণালয় থেকে দূর্গাহাটা সমাজ কল্যাণ সংস্থা এবং সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিজ দূর্গাহাটা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়। এরপর থেকেই ওই দুটি এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক মতিউর রহমান মতি গাবতলী ও সারিয়াকান্দী উপজেলার সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে সঞ্চয়, ডিপিএস ও ফিক্সড ডিপোজিটের নামে কোটি কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে ঋণদানের ব্যবসা করে আসছিল। এমতবস্থায় চলতি বছরের ২৪জুলাইয়ে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ওই এনজিও দুটির পরিচালক মতিউর রহমান মতি মারা যান। এরপর থেকেই মতিউর রহমান মতির ছেলে আশিকুর রহমান ডন ও মেয়ে মুক্তি খাতুন এনজিও দুটি পরিচালনা করতে থাকেন। কিন্তু আশিকুর রহমান ডন ও মুক্তি খাতুন হঠাৎ ১৮সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত থেকে উধাও হয়ে যান। খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে সঞ্চয়, ডিপিএস ও ফিক্সড ডিপোজিটকারী ভুক্তভোগীরা গতকাল বৃহস্পতিবার দূর্গাহাটা বাজারে এনজিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজলী বেগম, নূর জাহান বেগম, সোহাগী বেগম, শাজাহান আলী, বিশু মিয়া, জরিনা বেগম, রুবেল মিয়া, হাসেম মন্ডল, জাহিদুল ইসলাম, ফরিদা বেগম, মাহমুদা বেগম, সোহাগী, মহিদুল, শাহ আলম, রুমি বেগম, বাদশা, লোকমান, আঃ রাজ্জাকসহ আরো অনেকে। ভুক্তভোগীরা বলেন, গত ২১সেপ্টেম্বর আমাদের জমাকৃত টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা না দিয়ে এনজিও মালিকরা উধাও হয়ে গেছে। টাকা ফেরৎ পেতে উপজেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে ইউএনও মোছাঃ রওনক জাহান, উপজেলা সমবায় অফিসার আসাদুজ্জামান ভুইয়া ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন