![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
নেশায় আসক্ত মানুষ কী না করতে পারে। নেশার বস্তু জোগাড় করতে অনেকে ঘটি-বাটি বেচে দেন, তাও জানা কথা। তবে ভারতের শিক্ষা অফিসের এক পিওন যেন ছাপিয়ে গেলেন সেটিও। অভিযোগ, নিয়মিত মদ্যপায়ী ওই ব্যক্তি মদ কেনার টাকা জোগাড় করতে সরকারি অফিসের প্রায় সব কিছুই বেচে দিয়েছেন! বিক্রি থেকে বাদ যায়নি একাধিক আলমারি, চেয়ার, টেবিল, দরজা, জানালা, এমনকি নথিপত্রও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, ওড়িশার গঞ্জাম জেলা শিক্ষা অফিসের (ডিইও) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এম পিতাম্বর। অভিযোগ উঠেছে, তিনি দু’বছর ধরে অফিসের চেয়ার-টেবিল, নথিপত্র বিক্রি করে চললেও তা টের পায়নি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে অফিসটি। তবে পুরোনো ভবনে রাখা ছিল বেশ কিছু আসবাব ও নথিপত্র। সেগুলো দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিওন পিতাম্বরকে। এই সুযোগটা আর হাতছাড়া করেননি দৈনিক মদ্যপায়ী কর্মীটি।
অভিযোগ, প্রতিদিনের নেশার খরচ জোগাড় করতে বেরহামপুর শহরের ওই অফিসের প্রায় সব আসবাব ও নথিপত্র বিক্রি করে দিয়েছেন পিতাম্বর। দু’বছরের মধ্যে তেমন কেউ ওই ভবনে না যাওয়ায় বিষয়টি এতদিন চোখে পড়েনি কারও।
তবে কিছুদিন আগে জয়ন্ত কুমার শাহু নামে এক কর্মকর্তা পুরোনো ফাইল খুঁজতে পুরোনো ভবনটিতে যান। সেখানে গিয়ে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ তার। দেখেন, অফিস কার্যত ফাঁকা। ঘরে একটি আসবাবও নেই। নথিপত্রও সামান্যই পড়ে রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু দরজা-জানালাও গায়েব।
পরে ওই কর্মকর্তা স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পিওন পিতাম্বরকে আটক করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত দু’বছরে মদ কেনার জন্য একে একে অফিসের ৩৫টি আলমারি, ১০ সেট চেয়ার-টেবিল, দু’টি দরজাসহ বেশিরভাগ নথিপত্র ভাঙারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন ওই কর্মচারী।
ডিইও সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত এম পিতাম্বরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, সরকারি অফিসের জিনিসপত্র গায়েবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজন ভাঙারি ব্যবসায়ীকেও।
সূত্র: দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, সংবাদ প্রতিদিন
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন