যেহেতু মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত চলেছে খেলা তাই ধারণা করা হচ্ছিল, বুধবার বিকেল অথবা সন্ধ্যার আগে হয়তো দেশে ফিরবে না জাতীয় দল। কিন্তু তা নয়। বুধবার সকাল সকাল দেশে চলে এসেছে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন সিরিজজয়ী বাংলাদেশ দল।
সকাল ৮টার কিছু সময় পর দুবাই থেকে রাজধানী ঢাকায় পা রেখেছে টাইগাররা। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে আরব আামিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে সোহানের দল। প্রথমটিতে টাইগাররা পায় ৭ রানের জয়। আর মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে জয়ের ব্যবধান বেড়েছে খানিকটা, ৩২ রানে।
প্রত্যাশিত সিরিজ জয়টুকুই সার, অপ্রত্যাশিত কিছু বহু দূরে। পারফরমেন্স প্রত্যাশার মাত্রা স্পর্শ করতে পারেনি। বরং প্রত্যাশার চেয়ে খারাপ হয়েছে। দুই ম্যাচের একটিতেও ব্যাটিং ভাল হয়নি। প্রথম ম্যাচে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ৭৭ রানের ইনিংসটি ছাড়া আর একটি ফিফটিও নেই।
স্কোরলাইনের অবস্থাও খারাপ। প্রথম দিন শুরুতে মুখ থুবড়ে পড়ে অনেক সংগ্রাম করে ১৫৮ ও শেষ ম্যাচে মোটামুটি ভালো অবস্থায় থাকার পরও শেষ দিকে হাত খুলে খেলতে না পারায় ১৬৯-এ থেমে যাওয়া। বোলিংয়েও আহামরি কিছু ছিল না। তবে প্রথম ম্যাচে অফস্পিনার মেহেদি মিরাজ ও বাঁহাতি পেসার শরিফুল ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন।
প্রথা মেনে প্রতিষ্ঠিত ওপেনার বাদ দিয়ে দুই মেকশিফট ওপেনার মিরাজ ও সাব্বিরকে দিয়ে ইনিংসের সূচনা করার সুফল মেলেনি। সাব্বির প্রথম দিন ০ ও পরের ম্যাচে ১২ রান করে আউট হয়েছেন। তিন নম্বরে নেমে লিটন দাসও (১৩ ও ২৫) নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
অপর ওপেনার মিরাজ দুই (১২ ও ৪৬) ম্যাচেই চেষ্টা করেছেন। ব্যাট থেকে চার ছক্কার ফুলঝুরি না ছুটলেও বাঁহাতি আফিফ (৭৭ ও ১৮) ও অধিনায়ক সোহান (৩৫* ও ১৯*) রান পেয়েছেন। বোলারদের মধ্যে প্রথম দিন বেশ সমীহ জাগানো বোলিং করেছেন মিরাজ ও শরিফুল। বাকিরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।
মোদ্দা কথা, পারফরম্যান্সকে মানদন্ড ধরলে জাতীয় দলের দুবাই মিশন অনুজ্জল ও শ্রীহীন। এখন নিউজিল্যান্ড মিশন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত সাড়ে ১১টায় নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে শুরু হবে যাত্রা।
পরে ৭ অক্টোবর ক্রাইস্টচার্চে তিন জাতি ক্রিকেটে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সিপিএল খেলে সরাসরি ওয়েষ্ট ইন্ডিজ থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন অধিনায়ক সাকিব।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন