
বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের নয়াপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর মর্তুজা কাউছার অভি হত্যা মামলায় ৫জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- খানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জুর ছেলে হিমেল, গোলাম মোস্তফা ড্রাইভারের ছেলে সোহাগ হোসেন, নয়াপাড়া এলাকার জাহিদ হোসেন, শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ, শেরপুর পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদুল ইসলাম বাপ্পি।
গত বুধবার (২৮সেপ্টেম্বর) পৌর শহরের মৃত শেখ হোসাইন কাউছার ফুয়াদের ছেলে ব্যবসায়ী ও পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মর্তুজা কাউছার অভিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে নিহতের স্ত্রী মোছা: খাদিজা আক্তার লিমা বাদি হয়ে শেরপুর থানায় ৮জনসহ অজ্ঞাত ৮/৯জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন রাতেই শেরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হিমেল, সোহাগ ও জাহিদ হোসেন কে আটক করে এবং বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল (ডিবি) বৃহস্পতিবার (২৯সেপ্টেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া চর এলাকা থেকে আরিফুর রহমান শুভ ও রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পিকে আটক করে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান খোন্দকার চাঁদনী বাজারকে জানান, হত্যা মামলার ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে জাহিদ হোসেন, সোহাগ হোসেন ও আরিফুর রহমান শুভ প্রত্যেকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত এবং রিয়াদুল ইসলাম বাপ্পি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, শেরপুর পৌর শহরের মৃত শেখ হোসাইন কাউছার ফুয়ার ছেলে ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মর্তুজা কাউছার অভির সাথে পৌর শহরের নয়াপাড়া এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাদড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২), উলিপুর এলাকার মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে যুবলীগ কর্মী এনামুল মুসলিমিন সোহাগ (৩৫), শাহবন্দেগী ইউনিয়নের পাকছার আলীর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পী (৩৭), পৌর শহরের হাটখোলা খন্দকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা, খানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম রাঞ্জুর ছেলে হিমেল (৩২), প্রফেসরপাড়া এলাকার মৃত জিল্লুর রহমান মাস্টারের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ (৩৫), পূর্ব দত্তপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফা ড্রাইভারের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০), নয়াপাড়া এলাকার রকি (২৭) ও জাহিদ হোসেন (২৬) হাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় অভি উপজেলা নয়াপাড়া এলাকায় মুজাহিদ কার ওয়াশ সেন্টারে কার ওয়াশ করতে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সেখানে উল্লেখিত বিবাদীগণ পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকে। এ সময় হিমেল অভির সাথে থাকা শরিফ সহ স্থানীয় লোকজনদের সরিয়ে নিয়ে যায়। সেই সুযোগে বিবাদীরা তাকে দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারীভাবে সিনেমা স্টাইলে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন