এবার জয়পুরহাটের তরুণীকে বিয়ে শ্রীলঙ্কান যুবকের | Daily Chandni Bazar এবার জয়পুরহাটের তরুণীকে বিয়ে শ্রীলঙ্কান যুবকের | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১ অক্টোবর, ২০২২ ১১:২৬
এবার জয়পুরহাটের তরুণীকে বিয়ে শ্রীলঙ্কান যুবকের
অনলাইন ডেস্ক

এবার জয়পুরহাটের তরুণীকে বিয়ে শ্রীলঙ্কান যুবকের

জর্ডানে কাজের সূত্রে শ্রীলঙ্কান যুবকের সঙ্গে পরিচয়-প্রেম। মহামারি করোনা দুজনকে দূরে ঠেলে দিলেও প্রেম কী আর সে বাধা মানে? গত ২২ সেপ্টেম্বর ভালোবাসার মানুষের কাছে ছুটে আসেন শ্রীলঙ্কান রোশান মিতন (৩৩)। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর বিয়েও করেন দুই বছরের বড় প্রেমিকা রাহেনা বেগমকে।

রাহেনা বেগম জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের শাহাদুল ইসলাম ও মনোয়ারা বেগমের মেঝ মেয়ে। জীবিকার তাগিদে ২০১৪ সালে জর্ডানে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে একটি কোম্পানিতে গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে চাকরিরত অবস্থায় সে কোম্পানির সুপারভাইজার রোশান মিতনের সঙ্গে পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক।

রাহেনা বেগম বলেন, পারিবারিকভাবে অল্প বয়সে বিয়ে হয়। আমার একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। জর্ডানে যাওয়ার কিছুদিন পর স্বামী আমাকে ডিভোর্স দেন। পরে জর্ডানে আমার কোম্পানির সুপারভাইজার মুসলিম যুবক রোশানের সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমাদের প্রেম হয়। দেড় বছর আগে নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায় ফিরে যান রোশান। একে অপরকে বিয়ে করতে সম্মত হই। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমি দেশে চলে আসি।

এরপর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা হয়। রোশানের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। রোশান ২২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে তাকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে জয়পুরহাটের বাড়িতে নিয়ে আসি। দুই পরিবারের সবার সম্মতি ক্রমে ২৯ সেপ্টেম্বর অ্যাফিডেভিট করে আমদের বিয়ে হয়।

শ্রীলঙ্কান যুবক রোশান মিতন অল্প অল্প বাংলা বলতে পাড়লেও হিন্দীতে তিনি পারদর্শী, তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার গেলী মাকারার অধিবাসী আমি। বাবা সিয়ামা ও ফাতেমার বড় সন্তান আমি। আমি এখানে এসে বিয়ে করেছি, এখানেই থাকতে চাই।

রাহেনার প্রতিবেশী শাহাজান আলী জানান, প্রথমে শুনে অবাক হলাম। জয়পুরহাটে আমাদের এ গ্রামে এসে শ্রীলঙ্কান যুবক রাহেনাকে বিয়ে করেছে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী হক।

রাহেনার বাবা শাহাদুল ইসলাম ও মা মনোয়ারা বেগম বলেন, রোশানের সম্পর্কে মেয়ে আমাদের জানায়। ছেলে মুসলিম হওয়াতে কোনো আপত্তি করিনি। তার পরিবারের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলি। তাদের কথা অনেক ভালো লেগেছে। এক পর্যায়ে ছেলেটিকে আমি বাংলাদেশে আসতে বলি। এরপর তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।

দোগাছী ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) আবুল খায়ের বলেন, সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন