ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশন বিরাট কোহলির ঘরে ঢুকে বিনা অনুমতিতে ভিডিও ধারণ করা এবং তা প্রকাশ করার দায়ে এক কর্মীকে বরখাস্ত করেছে পার্থের হোটেল। সেইসঙ্গে হোটেলের পক্ষ থেকে কোহলির কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের জন্য ওই হোটেলে থাকছিল ভারতীয় দল।
একটি বিবৃতিতে হোটেল ক্রাউন পার্থের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা আন্তরিকভাবে অতিথির (কোহলি) কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেব আমরা।’
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি কোহলির রুমের ভিডিও করেছিলেন, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হোটেলের যাবতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে।
সোমবার সকালে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে কোহলি অভিযোগ করেন, বিনা অনুমতিতে কেউ তার হোটেলের রুমে ঢুকে ভিডিও বানিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
কোহলি বলেন, ‘আমি জানি যে নিজেদের প্রিয় খেলোয়াড়দের দেখে অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েন সমর্থকরা এবং প্রিয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করতে মুখিয়ে থাকেন। যে বিষয়ে আমি সবসময় বাহবা দিয়ে এসেছি।’
‘কিন্তু এই ভিডিও দেখে আমি হতবাক এবং এই ভিডিওর জেরে নিজের গোপনীয়তা আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। হোটেলে নিজের রুমের মধ্যে যদি গোপনীয়তা বজায় না থাকে, তাহলে কোথায় সেটা থাকবে বলে আমি আশা করতে পারি? আমি একেবারেই এই ধরনের খেলোয়াড় প্রীতি পছন্দ করি না। এই ঘটনায় পুরোপুরি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে। দয়া করে মানুষের গোপনীয়তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন এবং সেটাকে বিনোদনের জন্য কোনও পণ্য হিসেবে বিবেচনা করবেন না।’
বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন কোহলির স্ত্রী আনুশকা শর্মাও। তিনি বলেন, ‘অতীতে এরকম কয়েকটি ঘটনার মুখে পড়েছি, যেখানে ভক্তরা কোনওরকম সহমর্মিতা এবং রুচিবোধের দেখাননি। কিন্তু এটা সবথেকে নিকৃষ্ট ঘটনা। ভাবুন তো, এটা যদি আপনার বেডরুমে ঘটতো, তাহলে চুপ থাকতেন?’
সেই বিতর্কের মধ্যেই হোটেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘একটি তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে ক্রাউন। এরকম ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আমরা ভারতীয় ক্রিকেট দল ও আইসিসির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলেছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছি।’ সেইসঙ্গে তদন্তে কী উঠে আসে, সে বিষয়েও আইসিসি ও ভারতীয় দলকে জানানো হলে বলে আশ্বাস দিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন