
বগুড়ার নন্দীগ্রামে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রনবাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট করা অভিযোগ থেকে জানা যায় যে, ফাতেমা খাতুন গত ২৭ শে অক্টোবর বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলাকালীন সময়ে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্রী দেব দুলাল শীল ফাতেমাকে স্মার্টফোন আনার ব্যপারে জিঙ্গাসা করে। তখন ফাতেমা ফোন আনেনি বলে জানায়। পরে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাতেমার নিকট থেকে একটি স্মার্টফোন পায়। তাৎক্ষনিক ফাতেমা ভুল শিকার করলেও শিক্ষক শ্রী দেব দুলাল শীল ফাতেমাকে বেত দিয়ে দুটি বারি দেয়। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে। ফাতেমাকে অফিসে ডেকে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে, এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে ফাতেমাকে জোর করে স্কুল থেকে বের করে দেয়, এবং বিদ্যালয়ে না আসার জন্য বলে। এবিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজমিরি জামান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার অফিসে ফাতেমাকে কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা একেবারেই নিষেধ। এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্রী দেব দুলাল শীল জানান, ফাতেমাকে ফোন নিয়ে আসার কথা জিঙ্গাসা করলে সে অস্বিকার করে। পরে তার কাছে ফোন পাওয়া যায়, যার কারনে আমি তাকে বেত দিয়ে দুটি বারি মেরেছি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাতের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তাহা তদন্ত করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষা অফিসার সিরাজুন নেছাকে দায়িত্ব¡ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন