পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারে র্যাবের সবগুলো ইউনিট মাঠে কাজ করছে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সোমবার এক বার্তায় তিনি বলেন, ঘটনার সময়ের বেশকিছু সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা কাজ করছি। তাছাড়া পলাতক জঙ্গিদের পূর্ববর্তী অপরাধের ধরন ও তাদের আত্মীয় স্বজন ও তাদের চলাচলের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। র্যাবের সকল ইউনিট মাঠে রয়েছে। তাদেরকে ধরা গেলেই বেরিয়ে আসবে জঙ্গিরা পালানোর জন্য কীভাবে ছক তৈরি করেছিলো।
এর আগে রোববার দুপুরে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে ও মারধর করে ছিনিয়ে নেয়া হয় প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে। রাজধানীর রায়সাহেব বাজার মোড়সংলগ্ন ঢাকার সিজেএম আদালত ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা করায় ইতিমধ্যে ৫ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সিএসএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনর্চাজ পুলিশের এসআই নাহিদুর রহমান ভুইয়া, আসামিদের আদালতে নেয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনেস্টেবল শরিফ হাসান ও আব্দুস সাত্তার।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন