কখনও ভাবতে পারিনি হেরে যাব: মেসি | Daily Chandni Bazar কখনও ভাবতে পারিনি হেরে যাব: মেসি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:৫৬
কখনও ভাবতে পারিনি হেরে যাব: মেসি
অনলাইন ডেস্ক

কখনও ভাবতে পারিনি হেরে যাব: মেসি

স্বপ্নযাত্রার শুরুতেই প্রচণ্ড ধাক্কা। সৌদি আরবের মতো দলের কাছে হেরে যেতে হয়েছে ২-১ গোলের ব্যবধানে। যদিও এই হারেই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়নি। পরের দুই ম্যাচ জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যেতে পারবেন মেসিরা।

এই হারের ক্ষত যেমন ভুলতে পারছেন না লিওনেল মেসি, তেমনি এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন আজ সৌদি আরবের কাছে হেরে যাওয়ার পর।

শুরুটা করেছিলেন স্বপ্নের মতো। গোল করেছিলেন ম্যাচের শুরুতেই; কিন্তু শেষটা হলো দুঃস্বপ্ন নিয়ে। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ১০ম মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেই গোল ধরে রাখতে পারল না আর্জেন্টিনা। হারতে হলো ১-২ গোলে। ম্যাচ শেষে হতাশ মুখে বেরিয়ে গেলেন মেসি। পরে সাংবাদিকদের সামনে বুঝিয়ে দিলেন তিনি কতটা হতাশ।

দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামের একাংশ চুপ হয়ে যায় আর্জেন্টিনা হারের পর। অথচ শিরোপার দাবিদার এই দলটি অনেকেই প্রথম ম্যাচের পর হিসাবের বাইরে ফেলে দিচ্ছেন।

এসব নিয়ে মেসি বলছেন, ‘জানি অনেক মানুষ আমাদের ওপর ভরসা করেন। শুধু আমি বা দল নয়, এটা সব সমর্থকের কাছে বিরাট একটা ধাক্কা। কখনও ভাবতে পারিনি হেরে যাব।’

‘তবে একটা কথা বলতে পারি, আমরা সমর্থকদের মিথ্যা বলে এখানে আসিনি। আগেও অনেক ম্যাচ খেলেছি। আজও খুব একটা খারাপ খেলিনি। আশা করি এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এটাই সেরা সময়। এই হার আশা করিনি ঠিকই; কিন্তু গোটা পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের হাতেই রয়েছে।’

মেসি মেনে নিয়েছেন দ্বিতীয়ার্ধে তাদের অনেক ভুল হয়েছে। সৌদি আরব খেলার একটুও জায়গা দেয়নি। শারীরিক শক্তি কাজে লাগিয়েছে। প্রতি আক্রমণে গোল পেয়ে গেছে। সেটা মনে করিয়ে মেসি বলেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে মনে হয়েছে আমরা একটু তাড়াহুড়া করে ফেলেছিলাম। প্রথম দিকে যেটা ঠিকঠাকভাবে করছিলাম সেটা ধরে রাখতে পারিনি। ওদের খেলার জায়গা দিয়ে দিয়েছি। ওদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছি। বড্ড বেশি আক্রমণের দিকে নজর দিয়েছি। তবে এখন তো ফলের পরিবর্তন করা যাবে না। যে লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছি, সেটা পূরণ করাই লক্ষ্য।’

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন