ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফিরিয়ে লড়াকু জুটি ভাঙলেন সাকিব আল হাসান। ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর পথে কাঁটা বিছালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
৯২ রানেই ৪ উইকেট হারানো ভারতকে টেনে তুলছিলেন লোকেশ রাহুল আর সুন্দর। ৭৫ বলে তারা ৬০ রান যোগ করে দেন দলের জন্য। অবশেষে এই জুটিটি সাকিব ভেঙেছেন সুন্দরকে সাজঘরে ফিরিয়ে। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে এবাদতের ক্যাচ হন সুন্দর (১৯)।
এরপরের ওভারে এবাদত নিজেই আঘাত হানেন। এবার তাকে সাহায্য করেন সাকিব। শাহবাজের (০) একদম নিচু হয়ে যাওয়া ক্যাচ কভারে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দী করেন। তার পরের ওভারে সাকিব বোল্ড করে ফেরান শার্দুল ঠাকুরকেও (২)।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪.১ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৫৬ রান। ফিফটি তুলে রাহুল ৫৬ রানে অপরাজিত আছেন।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। বোলিং উদ্বোধন করেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভারে দেন মাত্র ১ রান।
এরপর হাসান মাহমুদ, মেহেদি হাসান মিরাজরাও বোলিংয়ে এসে চাপ ধরে রাখেন। অবশেষে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে উইকেটের দেখাও পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন শিখর ধাওয়ান, বলটা ব্যাটে লেগে লাগে স্টাম্পে। পড়ে যায় বেল। ভাঙে ভারতের উদ্বোধনী জুটি।
মাত্র ৭ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন ধাওয়ান। দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। এরপর দেখেশুনে খেলে দলকে কিছুটা পথ এগিয়ে নেন কোহলি আর রোহিত। ১০ ওভারে ভারত তোলে ১ উইকেটে ৪৮ রান।
একাদশতম ওভারে এসে জোড়া শিকার করে ভারতকে ফের চাপে ফেলে দেন সাকিব। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলিকে তিন বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ওভারে দ্বিতীয় বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলিয়ে রোহিতকে (৩১ বলে ২৭) বোল্ড করেন সাকিব। এক বল বিরতি দিয়ে ফেরান কোহলিকে।
ওই উইকেটে অবশ্য অবদান বেশি বলতে হবে লিটনের। এক্সট্রা কভারে বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নেন লিটন। কোহলি (৯) যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার আর লোকেশ রাহুল। তাদের ৫৬ বলে ৪৩ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন এবাদত হোসেন।
২০তম ওভারের শেষ বলে এবাদতের শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন আইয়ার (২৪)। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম নেন সহজ ক্যাচ। একশর আগে (৯২ রানে) ভারত হারায় ৪ উইকেট।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন