হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ালেন বিএনপি নেতা আলী আজম। একজন বন্দির সঙ্গে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মত দিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
এমএসএফ বলছে, কারা কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এহেন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিচারাধীন মামলায় এমন একজন আসামিকে কোনোভাবেই ডান্ডাবেড়ি পরানো যায় না। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুন: ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজায় বিএনপি নেতা, যা বলছে কর্তৃপক্ষ
এমএসএফ এ ঘটনাকে উদ্বেগজনক ও অনভিপ্রেত বলে মনে করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানায় সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার বিকেলে মা সাহেরা বেগম ইন্তেকাল করলে মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করেন আলী আজম। শেষবার মাকে দেখতে ও জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। জানাজা পড়ানোর সময় তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে অনুরোধ করা হলেও পুলিশ খুলে দেয়নি। জানাজার সময়ও আলী আজমের হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত লোকজন।
ডান্ডাবেড়ি পরে মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়া আলী আজম কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
তার স্বজনরা জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান আলী আজমের মা। শেষবারের মতো মাকে দেখতে ও জানাজা পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। কিন্তু ওইদিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মেলে বিএনপির এই নেতার।
এরপর মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি কালিয়াকৈরের পাবুরিয়াচালা এলাকায় মায়ের জানাজায় উপস্থিত হন তিনি। বেলা ১১টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মায়ের দাফন শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। জানাজা পড়ানোসহ পুরো সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন আলী আজম।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন