রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ৮৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, নির্বাচন সবাইকে মিলে করতে হবে। প্রার্থীদের আচরণ হবে বিধিমালা অনুযায়ী। আমাদের লোকবল খুব বেশি নয়। তবু আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চেষ্টা করবো।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ৮৬টি কেন্দ্রের জন্য পৃথক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে এ কেন্দ্রগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবো। গাইবান্ধার মতো কোনো সমস্যা দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা গাইবান্ধায় নির্বাচনে অনিয়মের ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা রংপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
সিসিটিভি জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসিটিভির ব্যবহার আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে) নেই। তবুও জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ব্যবহার হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিএনপির পদত্যাগ করা পাঁচটি আসনে বাজেট ঘাটতির জন্য সিসিটিভি স্থাপন করা যাবে না। কারণ, এটি হঠাৎ করে হয়েছে। এজন্য আমাদের বাজেট ছিল না। আমরা কিন্তু বলছি না যে সিসিটিভি একবারেই ব্যবহার করবো না। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে করবো।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোট। ২২৯টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৪৯টি কক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এ সিটিতে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। নির্বাচনে কাজ নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাত হাজার সদস্য। মাঠে থাকছে র্যাব ও বিজিবিসহ শতাধিক পুলিশের টহল টিম।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন..