ফিলিপাইনে ভারি বৃষ্টি-বন্যায় নিহত ১১, নিখোঁজ অন্তত ১৯ | Daily Chandni Bazar ফিলিপাইনে ভারি বৃষ্টি-বন্যায় নিহত ১১, নিখোঁজ অন্তত ১৯ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:১২
ফিলিপাইনে ভারি বৃষ্টি-বন্যায় নিহত ১১, নিখোঁজ অন্তত ১৯
অনলাইন ডেস্ক

ফিলিপাইনে ভারি বৃষ্টি-বন্যায় নিহত ১১, নিখোঁজ অন্তত ১৯

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যায় ১১ জন নিহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৯ জন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির দ্বীপভূখণ্ড মিন্দানাওয়ের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে এ বন্যা দেখা দেয়।

 

ফিলিপাইনের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাতে মিন্দানাওয়ের নদী-নালা ও অন্যান্য জলাশয় প্লাবিত হয়ে যায়। রোববার (২৫ ডিসেম্বের) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে বন্যা শুরু হয়।

বন্যার পানিতে ডুবে জিংগুগ শহরের পার্শ্ববর্তী ক্ল্যারিন, জিনামেজ ও তুদেলা এলাকায় ৭ জনের মৃত্যু হয়। তাছাড়া বন্যার পানিতে নৌকাডুবে মিন্দানাও দ্বীপপুঞ্জের লেইতে আরও ৪ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে একটি মেয়ে শিশু রয়েছে।

এদিকে, ঝড়ো আবহাওয়া ও প্রবল ঢেউয়ে মিন্দানাওয়ের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জামবোয়ানগার উপকূলে দুটি মাছধরা নৌকা ডুবে যায়। নৌকা দুটি গভীর সমুদ্র থেকে তীরের দিকে ফিরছিল।

ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড বাহিনী জানায়, নৌকা দুটিতে মোট ৪৩ জন মৎসজীবী ছিলেন। তাদের মধ্য থেকে ২৩ জনকে জীবীত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ১৯ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

মিন্দানাওয়ের মিসামিস অক্সিডেন্টাল প্রদেশের গভর্নর হেনরি ওয়ামিনাল জানান, রাজধানী ওরোকুইয়েটাসহ প্রদেশের অধিকাংশ গ্রাম ও শহর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত দ্বীপটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

‘ওরোকুইয়েটাতে ৭২ হাজার মানুষের বসবাস। শহরের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি ঢুকেছে। অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি, টেলিফোন-মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না।’

গভর্নর আরও বলেন, ঝড়-বৃষ্টি-বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের দেশে নিয়মিত ঘটনা। বছরজুড়েই আমাদের এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয়। তবে এবার যে বৃষ্টি ও বন্যার অভিজ্ঞতা আমাদের হলো, তা আগে কখনো হয়নি।

জিংগুগ শহরের কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানান, সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বৃষ্টি থামলেও, পানি সরেনি। শহরের অধিকাংশ এলাকায় এখনও বুক সমান পানি রয়েছে।

জিংগুগ শহরে প্রায় ৪৫ হাজার ৭০০ মানুষ বাস করেন। গত সাত দিনে তাদের মধ্যে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যার ৮৮ শতাংশই খ্রিস্টান। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে দেশটিতে গত এক সপ্তাহ ধরে ছুটি চলছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রাণহানি ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় ফিলিপাইনে এখন উৎসবের বদলে শোক বিরাজ করছে।

ফিলিপাইন মূলত ৭ হাজার ১০৭টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র। এদের মধ্যে ১১টি বড় দ্বীপ মোট আয়তনের ৯৪% বহন করছে। ভৌগলিক অবস্থান ও বছরজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যাগের কারণে দেশটিকে পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বলা হয়।

সূত্র: রয়টার্স

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন..