# চট্টগ্রাম কাস্টমসে সিপাহী নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ২৩ জন আটক, থানায় মামলা
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সিপাহী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করে মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ২৩ জন।
আটকরা হলেন— রফিকুল ইসলাম (৩৪), শামীম আখন্দ (৩০), শামীম প্রধান (৩০), শাহেদ মিয়া (২৮), মো. নুরুন্নবী (৩৪), আবুল বাশার (৩৪), এনামূল হক (৩০), শহীদুল ইসলাম (৩৪), রফিকুল ইসলাম (২৮), আব্দুর রশিদ (৩৭), সবুজ চন্দ্ৰ (৩৫), জয় চন্দ্র দে (২৮), বাবুল মিয়া (৩৩), মোবারক হোসেন (২৭), আক্তারুজ্জামান (৩৬), খলিলুর রহমান (৩১), আরিফুর রহমান (২৮), সুজন সরকার (২৯), নিতোষ চাকমা (৩২), সোহেল রানা (২৮), মো. ইলিয়াছ (৩২), কাজী দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও মো. মহিউদ্দিন (২৯)।
চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমিতে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) মৌখিক পরীক্ষা ১৮ জন এবং বুধবারের (২৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষায় পাঁচজন আটক হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দিয়ে তাদের নগরীর পাহাড়তলী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আটকদের জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোজিনা খাতুন।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রোজিনা খাতুন জানান, চট্টগ্রাম কাস্টমসের সিপাহী নিয়োগে জালিয়াতির মাধ্যমে আরেকজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে পাস করার পর মৌখিক পরীক্ষায় এসে ২৩ জন ধরা পড়েছেন। তাদের থানায় দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় আলাদা দুটি মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসে সিপাহী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে মামলা জটিলতায় পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। মামলা জটিলতা কাটিয়ে পরবর্তীতে গত ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উর্ত্তীণদের ২৩ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর সোমবার থেকে ২৬ ডিসেম্বর বুধবার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সাক্ষাৎকার দিতে আসা প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার খাতার হাতের লেখার মিল আছে কিনা যাচাই করা হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার খাতায় লেখা প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা সেসব উত্তর দিতে পারেননি, হাতের লেখাও মিলে নেই।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন