ভাগ্যটা সত্যিই কতটা ভালো হলে এতবড় একটি অ্যাকসিডেন্ট থেকে প্রাণে বেঁচে ফেরা সম্ভব? ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিশাভ পান্তের গাড়ি রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দেয়ার পরই আগুন ধরে যায় তাতে। পরে দেখা যায়, সেই গাড়িটা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গাড়ি নিজেই চালাচ্ছিলেন রিশাভ পান্ত। তাহলে কিভাবে তিনি কিছু আঘাতের বিনিময়ে প্রাণে রক্ষা পেলেন! ভাগ্য তার ভালোই বলতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটার মুহূর্তে সচেতন হয়ে ওঠেন এবং দ্রুত কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি বেরিয়ে আসার সময়ই গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিলো।
যদি সময়মত সচেতন না হতেন এবং যদি তিনি কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসতে না পারতেন, তাহলে কী হতো! ভাবতেই শিউরে উঠছেন ভারতীয় ক্রিকেট মহল। ওই গাড়িটা যেভাবে ছাই হয়েছে, ভেতরে আটকা পড়লে সেখানেই পুড়ে অঙ্গার হয়ে যেতে হতো পান্তকে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজিপি অশোক কুমার মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘ডিভাইডারে ধাক্কা মারার পর পান্ত বুঝতে পেরেছিলেন বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। বাঁচার জন্য তাই গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে নিজেকে বের করতে সক্ষম হন পান্ত। আগুন লেগে গিয়েছিল গাড়িটিতে। দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায় গাড়িটিকে। পান্ত গাড়ির মধ্যে থাকলে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। নিজের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বলেই আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।’
দুর্ঘটনাস্থল হরিদ্বার গ্রামীণ শাখার এসপি স্বপন কিশোর সিংহ বলেন, ‘বিরাট জোরে একটা আওয়াজ হয়েছিল দুর্ঘটনার সময়। গ্রামের লোকজন এবং স্থানীয় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পান্তকে। সেখান থেকে দেরাদুনের বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।’
পান্তের গাড়ির দুর্ঘটনার ঠিক পরমুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে তার গাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে। দুর্ঘটনা যখন ঘটেছে তখনও আশেপাশে বেশ অন্ধকার ছিল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পান্ত নিজেই গাড়ি থেকে বেরিয়েছেন উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে। আর কিছুক্ষণ গাড়ির ভিতরে থাকলে তার প্রাণে বাঁচা মুশকিল হয়ে যেত।
তবে এই মুহূর্তে হাসপাতালে তিনি স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা অবশ্য জানিয়েছেন, স্থিতিশীল হলেও মাথায় চোট থাকায় পন্থকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। তাঁকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিজেকে বের করতে সক্ষম হলেও শরীরের একাধিক জায়গায় পুড়ে গেছে পান্তের। সেখানে প্লাস্টিক সার্জারি করতে হতে পারে।’
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন