রাশিয়ার অধিকৃত দোনেৎস্ক অঞ্চলে একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এতে অন্তত ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বছরের প্রথম দিনে দোনেৎস্ক অঞ্চলের মাকিভকা শহরের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন তারা। এ ভবনটিতে রুশ বাহিনী অবস্থান করছিল। হামলায় অন্তত ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। এতে আরও ৩০০ জন আহত হতে পারেন।
এদিকে, ইউক্রেনের হামলার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়াও। তবে সেনা নিহতের যে তথ্য ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তা মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার সেনাদের অস্থায়ী বসবাসের একটি ভবনে ছয়টি রকেট ছুড়েছে। এর মধ্যে দুটি গুলি করে ভূপাতিত করেছে রাশিয়ার সেনারা। বাকি রকেটগুলো ভবনে আঘাত হানে। এতে তাদের ৬৫ সেনা নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হিমারস রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে ইউক্রেনীয় বাহিনী এ রকেট নিক্ষেপ করেছে বলেও দাবি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
বিবিসির রাশিয়ান সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ অধিকৃত দোনেৎস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর এ হামলাকে ‘মারাত্মক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া হামলা ও সেনা নিহত হওয়া নিয়ে খুব কমই বিবৃতি দেয় বা মুখ খুলে থাকে। মাকিভকা শহরের মারাত্মক এ হামলার ঘটনায় মুখ না খোলা ছাড়া রাশিয়ার কাছে সম্ভবত কোনো বিকল্প ছিল না।’
রুশপন্থি সামরিক ব্লগার ইগোর গিরকিনের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবনটি প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ভবনে গোলাবারুদ মজুত করা হয়েছিল। এতে ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক হয়েছে। শত শত মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি, কারণ অনেক মানুষ নিখোঁজ আছেন। তবে নিহতের সংখ্যা ইউক্রেনের দাবির চেয়ে কম হবে।
দোনেৎস্কের অধিকৃত অঞ্চলের রুশপন্থি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ড্যানিল বেজসোনোভ হামলার কথা স্বীকার করে টেলিগ্রামে একটি পোস্টে করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘নতুন বছরের মধ্যরাতে দুই মিনিট পর মাকিভকা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। আমেরিকান হিমারস থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। অনেকে হতাহত হয়েছেন। তবে সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।’
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন