তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে এমন ভূমিকম্প ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল। সুইস সিসমোলজিস্ট স্টেফান উইমার এ মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুইস সিসমোলজি সার্ভিসের পরিচালক স্টেফান উইমার জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে চলতি সপ্তাহে যে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে সেটি গত একশ বছরের বেশি সময়ও দেখেনি কাহরামানমারাসের মানুষ। সুইস টেলিভিশন চ্যানেল এসআরএফ, যেটি জার্মান থেকে সম্প্রচার হয় সেটিতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সোমবারের ৭ দশমিক ৭ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি শহর। বৃহস্পতিবার, তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, দেশটিতে এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৭৪ জনে। আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৮৭৯ জন।
উইমার বলেন, এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে এই দুই দেশের মধ্যে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এই অঞ্চলে টেকটনিক প্লেটের ফল্ট রয়েছে। তিনি জানান, বহু বছর ধরে এই অঞ্চল ঘিরে শঙ্কা ছিল। এখানে পূর্ব আনাতোলিয়ান ফল্ট রয়েছে, যেখানে আলোড়ন শুরু হয় এবং নিষ্কাশন হয়। তিনি এটাও বলেন, এতো বড় ভূমিকম্প সত্যিই বিরল।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের বড় ভূমিকম্পের পর, দিন, সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাস পরপর আবারও ভূমিকম্প হয়। উইমার বলেন, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর তীব্রতা সাধারণত কমে যায়।
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে ভূমিকম্প হয়। প্লেটগুলোর আকার পরিবর্তিত হয়। দুটি টেকটোনিক প্লেটের মাঝে আছে ফল্ট লাইন। ভূমিকম্প সাধারণত এই ফল্ট লাইনের আশপাশে হয়ে থাকে। টেকটোনিক প্লেটগুলো ধীরে ধীরে সরে যায় এবং কখনও কখনও সঙ্গে লেগে থাকে আবার কখনও ফল্ট লাইনে কম্পন তৈরি করে। যখন এটি খুব বেশি বৃদ্ধি পায়, তখনই ভয়াবহ ভূ-কম্পন্ন অনুভূত হয়। যেটি তুরস্ক-সিরিয়ায় ঘটেছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন