উদ্ধারকারীর পিছু ছাড়ছে না বিড়ালটি | Daily Chandni Bazar উদ্ধারকারীর পিছু ছাড়ছে না বিড়ালটি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১৬:০২
উদ্ধারকারীর পিছু ছাড়ছে না বিড়ালটি
অনলাইন ডেস্ক

উদ্ধারকারীর পিছু ছাড়ছে না বিড়ালটি

তুরস্ক-সিরিয়ায় দু’সপ্তাহ আগের ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানি ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যা। তুরস্কে ভূমিকম্পের আঘাতে প্রায় ২ লাখ ৬৪ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া মানুষ ও অন্য প্রাণীদের খুঁজে বের করা বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় উদ্ধারকারীদের জন্য। তবুও যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বহু ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে মানুষ ও অন্য প্রাণী উদ্ধারের অবিশ্বাস্য দৃশ্য।

সম্প্রতি তুরস্কের মারদিন শহরে ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি বিড়ালকে উদ্ধার করেছিলেন স্থানীয় এক দমকলকর্মী। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এরপর থেকে ওই ব্যক্তির পিছু ছাড়ছে না বিড়ালটি।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টুইটারে উদ্ধার হওয়া বিড়াল ও তার উদ্ধারকারীর একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন ইউক্রেনীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা আন্তন গেরাশচেঙ্কো। এতে দেখা যায়, বিড়ালটি ওই উদ্ধারকর্মীর কাঁধে চেপে বসেছে এবং তার মুখের সঙ্গে মুখ ঘষে আদর করার চেষ্টা করছে।

এর দু’দিন পরে গেরাশচেঙ্কো আরও একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, সেই তুর্কি উদ্ধারকর্মী বিছানায় শুয়ে রয়েছেন এবং তার গায়ে হেলান দিয়ে আরাম করে বসে রয়েছে বিড়ালটি।

পোস্টের ক্যাপশনে গেরাশচেঙ্কো জানান, বিড়ালটিকে পোষ্য হিসেবে বাড়িতে নিয়ে গেছেন ওই উদ্ধারকর্মী।

তিনি বলেন, এর আগে আমি তুরস্কে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি বিড়ালের বিষয়ে পোস্ট করেছিলাম, যে তার উদ্ধারকর্তার কাছ থেকে সরছিল না। সেই উদ্ধারকর্মীর নাম আলি কাকাস এবং তিনি পোষ্য হিসেবে নেওয়া বিড়ালটির নাম রেখেছেন ‘এনকাজ’। তুর্কি ভাষায় শব্দটির অর্থ ধ্বংসস্তূপ। তাদের জীবন সুখের হোক!

গেরাশচেঙ্কোর পোস্টটি শেয়ার হওয়ার পরপরই ভাইরাল হয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত এতে লাইক দিয়েছেন ২ লাখ ১৪ হাজার মানুষ, রিটুইট করেছেন ২০ হাজারের বেশি, আর মন্তব্য পড়েছে প্রায় দেড় হাজার।

একজন লিখেছেন, ‘কী চমৎকার গল্প। আল্লাহ দুজনকেই ভালো রাখুক।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এমন একটি বিড়াল পেয়ে কে না খুশি হবে!’ তৃতীয় একজনের মন্তব্য, ‘সম্ভবত আজকের দিনের সেরা গল্প এটি!’

সূত্র: এনডিটিভি

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন