গোবিন্দগঞ্জে বিবাদমান সম্পদে দণ্ডবিধির ১৫৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar গোবিন্দগঞ্জে বিবাদমান সম্পদে দণ্ডবিধির ১৫৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০০:০৩
গোবিন্দগঞ্জে বিবাদমান সম্পদে দণ্ডবিধির ১৫৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ
ষ্টাফ রিপোর্টার

গোবিন্দগঞ্জে বিবাদমান সম্পদে দণ্ডবিধির ১৫৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিবাদমান সম্পদে অবৈধভাবে দণ্ডবিধির ১৫৪ ধারা, পিআরবি-২৫২ ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত এজাহার জমা করলেও তদন্তের নামে গড়িমসি আর কালক্ষেপণে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীর অপূরণীয় ক্ষতি সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার রাখালবুরুজ ইউপির চাঁদপুর সিংগা গ্রামে চাঁদাদাবি করে ব্যর্থ হয়ে ১৫৪ ধারা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক একটি পুকুর নিজেদের দখলে নেওয়ার ঘটনা ঘটায় স্থানীয় সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তারা আ.স.ম. ফিরোজ কবিরের একটি পুকুরে অবৈধভাবে লাল পতাকা পুতে এবং পুকুর পাড়ে বিভিন্ন গাছ রোপণ করতে থাকে। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা মিলন, মিলনের স্ত্রী ও সবুজকে মারপিটে আহত করে। এরপরেও তারা বিভিন্ন জমিতে ক্রয়কৃত জমির মালিকানার জবরদখল সাইনবোর্ড লাগাচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত এজাহার জমা করেন ফিরোজ কবির। তদন্তে থানা কর্তৃপক্ষ গত ১০ ফেব্রুয়ারির আদেশটি পুরোপুরি লঙ্ঘিত জানার পরও মামলা রেকর্ড করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে গড়িমশি করছে। এরপরেও চিহ্নিত অভিযুক্ত ব্যক্তিরাই পুকুর পাড়ে অবস্থিত ওয়াক্ত নামাজ ঘর সংস্কারের মাধ্যমে সবকিছু নিজেদের দখলে রয়েছে মর্মে দেখানোর ষড়যন্ত্র করছে। যা থানা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী। এ অবস্থায় যে কোনো মুহুূর্তে সেখানে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা বিরাজ করছে  বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলার রাখালবুরুজ ইউপির চাঁদপুর সিংগা গ্রামের আ.স.ম ফিরোজ কবির তালুকদারের সাথে ভাগী শরীকদের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ চলমান। ভাগী শরীকদের কাছ থেকে একাধিক দাগে তিনি বেশ কিছু জমি কবলা দলিলমূলে মালিকানা-স্বত্ত্ব দখলভোগ করে আসছেন। এক পর্যায়ে ওই সম্পদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষে অবৈধভাবে অন্য শরীকরা কিছু জমি স্থানীয় সমাজের মসজিদ কমিটির নিকট হস্তান্তর করে। যা নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ (চৌকি) আদলতে মোকদ্দমা নং-অন্য ১৩৬/২০১৪ মো. হাবিবুল ইসলাম তালুকদার বাদি হয়ে ফিরোজ কবিরকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ২৯ মে ২০১৯ সালের রায়ে বাদী পক্ষের স্বত্ব ও নিরঙ্কুশ দখল না থাকায় আদালতের সিদ্ধান্ত বাদীর বিপক্ষে যায়। এর পর থেকে পরাজিত পক্ষ বিভিন্ন প্ররোচণায় স্থানীয়ভাবে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপকে ব্যবহার করে ফিরোজ তালুকদারের দখল স্বত্বে একাধিকবার হামলা চালায় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টের চেষ্টা করে। এ থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে ফিরোজ তালুকদার সহ ফৌ: কা: বি: ১৪৪/১৪৫ ধারায় আবেদন করলে গোবিন্দগঞ্জ থানায় উভয় পক্ষকে নিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থানায় বৈঠক হয়। সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে উভয় পক্ষ স্ব-স্ব অবস্থানে থাকার অঙ্গীকার করেন। যার ফলে পূর্বে আদালতের রায়ে ফিরোজ কবির তার সম্পদ দখলভোগে আছেন। 
ভুক্তভোগী ফিরোজ তালুকদার বলেন- দখল-সত্বে আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছে; থানায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্ব-স্ব অবস্থানে থাকার বিষয়টি লিখিত করেছে; এরপরেও তা ভঙ্গ করে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে আমি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার চেয়ে পাচ্ছি না। 
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন