তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের বহু ভবন ধসে গেছে। ভবন ধসে এতো মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে আঙ্কারা। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে ১৮৪ জনকে। দেশটির এক মন্ত্রী শনিবার তদন্ত শুরুর কথা জানান।
তুরস্কে যারা বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই মারা গেছে ৪৪ হাজার ১২৮ জন। প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াসহ নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ালো।
দেশটির আধুনিকতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্যোগ এবারের ভূমিকম্প। সেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার ভবনের ৫ লাখ ২০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ধসে পড়েছে বা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তুরস্কের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী বেকির বোজদাগ বলেছেন, ৬০০ লোকের বিরুদ্ধে ভবন ধসের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে তদন্ত হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দিয়ারবাকিরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তুরস্কে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশের মধ্যে এটি একটি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আটকদের মধ্যে ভবনের মালিক, কন্ট্রাক্টর ও ম্যানেজার রয়েছেন। অপরাধবিষয়ক মামলা করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তদন্ত চলমান রয়েছে ও দ্রুতই শুরু হবে বিচারকাজ।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ৭৯ জন ঠিকাদার, ৭৪ জন ভবন নির্মাণের আইনভঙ্গকারী, ১৩ জন সম্পত্তির মালিক এবং আরও ১৮ জন যারা ভবন পরিবর্তন করেছিলেন।
অনেক মানুষ এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ান, যিনি তার দুই দশকের শাসনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, তিনি পুনরায় বাড়িঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দুর্যোগের পর প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তুরস্কে কোনো চূড়ান্ত মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি। দেশটির কর্মকর্তারা এখনো বলেননি কতজন মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে। এদিকে, ভূমিকম্পের ফলে দেশটির অন্তত ২০ লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন