স্ট্রোক শুধু বয়স্কদেরই নয়, বরং তরুণদের মধ্যেও হতে পারে যখন তখন। চিকিৎসকদের মতে, স্ট্রোক আক্রান্তকে যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবেন, ততটাই কমবে জীবনের ঝুঁকি। তবে কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার বা অন্য কারও স্ট্রোক হয়েছে?
১. হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখা
২. কথা জড়িয়ে যাওয়া
৩. মুখ বেঁকে যাওয়া
৪. একদিক অবশ হয়ে যাওয়া
৫. একদিকের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়া
৬. অসংলগ্ন কথা বলা
৭. তীব্র মাথাব্যথা ইত্যাদি।
গবেষণা বলছে, তীব্র মাথাব্যথাও হতে পারে স্ট্রোকের গুরুতর লক্ষণ। মস্তিষ্কের একটি অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হয়। উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের প্রধান কারণ।
স্ট্রোকের দুটি প্রধান প্রকার রয়েছে-
১. ইস্কেমিক
২. হেমারেজিক
ইস্কেমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে রক্তনালি ফেটে যাওয়ার কারণে হেমোরেজিক স্ট্রোক হয়।
হেমোরেজিক স্ট্রোকের তুলনায় ইস্কেমিক স্ট্রোক অনেক বেশি সাধারণ! উভয় ধরনের স্ট্রোকের ক্ষেত্রেই তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোকের উৎস ক্যারোটিড ধমনী থেকে শুরু হতে পারে। প্রিমিয়ার নিউরোলজি সেন্টার, ইউএস অনুসারে, ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত রোগী স্ট্রোকের আগে তীব্র মাথাব্যথা অনুভব করতে পারে।
‘ব্লকড ক্যারোটিড আর্টারি’ মাথার সামনের দিকে অসহ্য যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে। আবার মস্তিষ্কের পেছনের দিকে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হলে মাথার পেছনে অসহ্য যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়।
তাই কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ যন্ত্রণা অনুভব করলেই সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোথায় রক্তবাহিকায় বাধা সৃষ্টির কারণ হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে স্ট্রোকে মাথাব্যথার স্থান।
সূত্র: এবিপি লাইভ
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন