প্রথম রমজানে বগুড়ায় চড়া দামে বিক্রি হয়েছে ইফতার | Daily Chandni Bazar প্রথম রমজানে বগুড়ায় চড়া দামে বিক্রি হয়েছে ইফতার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৩ ২৩:২৪
প্রথম রমজানে বগুড়ায় চড়া দামে বিক্রি হয়েছে ইফতার
ষ্টাফ রিপোর্টার

প্রথম রমজানে বগুড়ায় চড়া 
দামে বিক্রি হয়েছে ইফতার

বগুড়ায় প্রথম রমজানে ইফতার পণ্য সামগ্রীর দাম ছিল বেশ চড়া। কোন রেস্টুরেন্টের সঙ্গে কোনটারই দামের মিল নেই। মুল্য বৃদ্ধির মধ্যেই রমজানের প্রথম দিনেই বগুড়ায় ইফতারের দোকানগুলোতে সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। মাহে রজমান উপলক্ষে কিছু অসাদু ব্যবসায়ি কৌশলে দাম বাড়িয়েছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছে।

জানা যায়, দই বিক্রির পাশাপাশি ইফতার সামগ্রী বিক্রিতে দেখা গেছে একেক রেস্টেুরেন্টে একেক দাম। শহরের জলেশ^রীতলায় ইফতার সামগ্রী বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি দাম হাঁকা হয়। এই এলাকায় নামী ও অভিজাত হোটেলের ইফতার সামগ্রীর দাম আকাশ ছোঁয়া। গড়ে তিনশত থেকে চারশত টাকা কেজি বিক্রি করেছে ইফতার সামগ্রী। বগুড়ার ঐতেহ্যবাহি আকবরিয়া হোটেলে বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। শ্যামলী হোটেল এন্ড রেস্টেুরেন্টে বুন্দিয়া বিক্রি হযেছে ২২০ টাকা কেজি। ছোলা বিক্রি হয়েছে১৮০ টাকা কেজি। জিলাপী ২২০ টাকা কেজি। অন্যান্য ইফতার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। বগুড়া শহরের কলোনী, ঠনঠনিয়া, মালতীনগর, চেলোপাড়া, বাদুড়তলা এলাকায় ইফতার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে গড়ে ২০০ টাকা কেজি। গত বছর রমজানে এই ইফতার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি।
বগুড়ার ক্রেতারা জানান, গত বছর ইফতার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি। এবছর বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২৫০ টাকা কেজি। বগুড়ায় ইফতার সামগ্রীর দাম বেশি এবার।   
বগুড়ার দই ব্যবসায়িরা জানান, রমজান মাসে দইয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদামত দই সরবরাহ করা যায় না। প্রতিটি সাদা দইয়ের হাড়ি (ছোট) বিক্রি করা হয়ে থাকে ৮০ থেকে ৯০ টাকা করে। কিছু স্পেশাল বিক্রি করা হয় ১৭০ টাকা করে। দই তৈরীর সময় যতটা প্রয়োজন তা পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা প্রচুর রয়েছে। তারা আরো জানান, রোজায় বগুড়ায় সাদা দইয়ের চাহিদা রয়েছে। রোজাদার ব্যক্তিগণ ঠান্ডা পানীয় খাবার খেতে চায় বেশি। সাদা দই দ্রুত শরীরকে ঠান্ডা করে। এই কারণে বগুড়ায় ইফতারে সাদা দইয়ের চাহিদা বেশি। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন