বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না | Daily Chandni Bazar বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২৩ ১০:৪১
বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না

বিশ্বের প্রায় ২৩০ কোটি মানুষ নিরাপদ সুপেয় পানির অভাবে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া বিশ্বের মোট ৩৬০ কোটি মানুষের নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই বলেও জানায় সংস্থাটি।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলছে পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সংকট। অনিরাপদ পানির প্রভাব ঠেকাতে প্রতিবছর বৈশ্বিক ব্যয় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সংস্থাটি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে খরা ও বন্যা পানির সমস্যাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। বর্তমানে জরুরিভাবে এ সমস্যা নিরসন করতে হবে। আর এ জন্য বিশ্ববাসীকে এক হতে হবে।

ইয়েমেনের উদাহরণ টেনে বিশ্বব্যাংক জানায়, ইয়েমেনের অগণিত গ্রামে মৌলিক পরিষেবার অভাব রয়েছে, তবে সেখানে নিরাপদ পানির অভাব সব থেকে বেশি। দেশটির জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশের বেশি প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে রয়েছে। ইয়েমেনের আল-আদন, আল-আনিন এবং হাওফ- এই তিন গ্রামে পানির অভাব নিরসনে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। কীভাবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয়ে অর্থায়ন করেছে সংস্থাটি।

আল-আদন গ্রামের বাসিন্দা এবং ছয় সন্তানের জননী হালিয়া আল-জালাল জানান, আগে তার পরিবারকে পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ পথ হেঁটে যেতে হতো। কিন্তু বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ফলে সেই সমস্যা নেই। তিনি বলেন, আমাদের আর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পানি আনার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না। আমাদের দুঃখের অবসান ঘটিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অভাব মানবজাতিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। ২০১৯ সালে ডায়রিয়াজনিত রোগ ছিল মৃত্যুর অষ্টম কারণ। অভিযোগ উঠছে, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে নিরাপদ পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষ করে নারী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শিশুদের ওপর বেশি প্রভাব পড়ে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, কৃষিকাজের জন্য পানি অপরিহার্য। সুপেয় পানির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলে তিন বিলিয়ন ডলার রিটার্ন আসে। গ্রামীণ এলাকায় পানির জন্য বিনিয়োগ করলে আরও বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন