ওয়ানডেতে দাঁড়াতেই পারেনি আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ম্যাচটি ধুয়েমুছে গেছে, না হয় হয়তো ‘বাংলাওয়াশ’ হতো আইরিশরা। তারপরও ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ দাপুটে খেলেই জিতেছে ২-০‘তে।
দুটিই জয়ই অর্জনের দিক থেকে অবিস্মরণীয়। প্রথম ম্যাচে ১৮৩ রানে পাওয়া জয়টি ব্যবধানগত দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ওয়ানডে জয়। আর শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটে পাওয়া জয়টি একদিনের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম।
এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই ফরম্যাটে সবশেষ দ্বিপাক্ষীয় সিরিজে দুই দলের দেখা হয়েছিল সেই ২০১২ সালে। সেই সিরিজেও জিতেছিল বাংলাদেশ। ১১ বছর পর আবার হবে কি? আগামীকাল (সোমবার) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
আয়ারল্যান্ড এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে একবার জিতেছে, সেটা ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে। ওয়ানডে সিরিজে উড়িয়ে দিলেও প্রতিপক্ষকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখতে রাজি নন টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে কোনো প্রতিপক্ষই সহজ না। কাউকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আয়ারল্যান্ডকেও নয়। আর আমরা যদি আয়ারল্যান্ডকে হালকাভাবে নেই তাহলে আমাদেরই ক্ষতি হবে। আমরা কোনো প্রতিপক্ষকেই হালকাভাবে নেইনা। আবার কাউকে ভয়ও করি না। এটাই আমাদের মন্ত্র।’
তবে এই কথার সঙ্গে বাংলাদেশ কোচ বলে দিয়েছেন, সিলেটে ওয়ানডে সিরিজে একচ্ছত্র কর্তৃত্বের পর চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও নিজেদের করে নিতে চায় তার দল।
হাথুরু বলেন, ‘আমরা আসলে ওয়ানডের মত ফলই চাই। আমরা তা নিয়েই কথাবার্তা বলছি। আমরা সেই প্রসেসটাই অনুসরণ করবো, যেটা আমাদের জন্য সহায়ক। আমরা যদি আমাদের প্রসেস ঠিক রেখে খেলতে পারি, তাহলে আমরা একটা ভালো দল হতে পারবো। সেটাই ক্রিকেটারদের বলা হয়েছে।’
আইরিশ কোচ হেনরিক মালান অবশ্য বেশ বড় গলায় কথা বললেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই চাই ৩-০তে জিততে। কিন্তু বাংলাদেশকে ৩-০তে হারানোটা মূল বিষয় না। আমাদের জন্য ব্যাপার হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট পথ ও ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে হবে। আশা করি এটা চালিয়ে যেতে পারলে ৩-০ তে জয় এমনিতেই আসবে।’
শুক্রবার টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। এই ফরম্যাটে শক্তিমত্তার পার্থক্য খুব একটা থাকে না মনে করিয়ে আইরিশ কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় কয়েকদিন পিছিয়ে গেলেই আপনি দেখবেন আফগানিস্তান পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে। ছোট ফরম্যাটে দলগুলো ম্যাচ আরও ক্লোজ হয়ে যায়। আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে এটাই রোমাঞ্চকর সময়। অনেকদিন ধরেই দেখিয়েছি আমরা টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পারি।
এদিকে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথায় মিলেছে একটি ভিন্ন ইঙ্গিত। তাহলো, উইকেট হতে পারে প্রত্যাশার চেয়ে স্লথ। হাথুরু বলেন, ‘মনে হয় উইকেট হবে ফ্ল্যাট। তবে উইকেটের মাঝখানে একদম ঘাস নেই। মনে হয় অনেক খেলা হয়েছে এই পিচে। তাই একদমই ঘাস নেই। আশা করি এটা ‘ট্রু’ উইকেটই হবে। তবে মনে হয় না এ উইকেটে খুব একটা গতি থাকবে।’
যেহেতু কোচের মনে হয় উইকেটে গতি কম থাকবে, তাই বাংলাদেশ একাদশে হয়তো পেসারের সংখ্যা কম থাকবে। স্পিনারের আধিক্য দেখা যেতে পারে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন