বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই ঝুম বৃষ্টি। বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। ভ্যাপসা গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি নগর প্রকৃতিকে শান্ত আর স্নিগ্ধ করেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকায় দুই দফায় ২৮ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে ঢাকায় রোদের ছটা থাকলেও মেঘলা আকাশ। শুক্রবারও প্রায় সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ছাড়া সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে ছিল কালবৈশাখী ঝড়। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী দুদিন পর বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলেও জানান আবুল কালাম মল্লিক।
শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলিতে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে।
অন্যদিকে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন