জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বড় সংকটের মুখে পৃথিবী। এ গ্রহ উত্তপ্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শিল্প যুগের প্রাক-মুহূর্ত থেকে পৃথিবী খুব দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী এশিয়ার দেশগুলো।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সহিষ্ণুতার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এ অঞ্চলে নেট-জিরো ট্রানজিশনের অর্থায়ন অপরিহার্য। এ রূপান্তরের জন্য ২০৫০ সাল পর্যন্ত বছরে ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হবে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বৃহস্পতিবার (৪ মে) এডিবি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইঞ্চনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৬তম বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবারের (৩ মে) আয়োজন ছিল ‘গভর্নরস সেমিনার’। অর্থাৎ এডিবির পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে সেমিনার।
সেমিনারে জলবায়ু মোকাবিলার বিষয়টি উঠে আসে। মূলত সদস্য দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানরাই এডিবির গভর্নর। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘রিবাউন্ডিং এশিয়া: রিকভার, রিকানেক্ট, অ্যান্ড রিফর্ম’। অর্থাৎ ‘এশিয়ার আবার ফিরে আসা: পুনরুদ্ধার, পুনঃসংযোগ এবং সংস্কার’। এটিই ছিল সেমিনারের আলোচনার বিষয়।
আলোচনায় আরও অংশ নেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষয়ক পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি নিয়েলস আন্নেন এবং এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া। সেমিনার সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক এবং এসওএএস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের প্রেসিডেন্ট জয়নাব বাদাউই।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, জলবায়ু মোকাবিলার এ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন অর্থ জোগান দিতে হবে। জলবায়ু বিনিয়োগের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে হবে। মূলধন সংগ্রহ করে জলবায়ু মোকাবিলা করতে হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন