রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পদযাত্রার শেষের সারি থেকে কিছু ছেলে (বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা) পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে মারধর শুরু করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে। এরইমধ্যে তারা বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের বাধায় আগুন দিতে ব্যর্থ হয়ে বাসের জানালার কাচ ভাঙচুর করে। এ ধরনের পরিস্থিতি কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) আমাদের সিআরপিসি নিয়ম আছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করেছি। যাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি তারা কম করতে পারেন।’
ডিসি আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির আজকের পদযাত্রা ছিল পূর্বনির্ধারিত। ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি আসার কথা ছিল সিটি কলেজ পর্যন্ত। খুব শান্তিপূর্ণভাবে তারা শুরুও করেছিল। প্রায় ১০-১৫ হাজার লোক ছিলেন পদযাত্রায়। সামনের সারিতে যেসব নেতাকর্মীরা ছিলেন, তারা খুব ভালো আচরণ করেছেন। এ পর্যন্ত (সায়েন্সল্যাব) এসে তাদের যা করার কথা ছিল, তাই করেছেন। সব সিনিয়র লিডাররা তখন চলে যান।’
রমনা বিভাগের এ ডিসি বলেন, ‘সংঘর্ষে জড়ানো ১০ থেকে ১৫ জনকে আমরা আটক করেছি। সংঘর্ষে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তারা না করলেও পারতেন। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন