পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় যুবদলের ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে ঈশ্বরদীর রেলগেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতাররা হলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোনামনি, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির জুয়েল, চয়ন, হাবিব, তরিকুল ও মামুন। তাদের বিরুদ্ধে রাতেই ঈশ্বরদী থানায় মামলা হয়েছে।
ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রেলগেট বন্ধ থাকায় পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পশ্চিম পাশে বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস আড়াআড়িভাবে দাঁড় করালে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এসময় ট্রাফিক কনস্টেবল জাহিদ এগিয়ে গিয়ে মাইক্রোবাসটি সোজা করে রাখার জন্য বলেন। কনস্টেবল জাহিদের কথা না শুনে যুবদল নেতা সোনামনিসহ অন্যরা তাকে গালিগালাজ ও মারমুখী আচরণ করতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে টিএসআই জাহিদ এগিয়ে এসে গাড়ি সোজা করার অনুরোধ করেন। কথাকাটাকাটির ঘটনা বডিঅন ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছে বুঝতে পেরে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে কনস্টেবল ও টিএসআইকে মারধর শুরু করেন তারা। মারধরের মধ্যেই ট্রাফিক সদস্যরা সোনামনিকে টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে আসেন। অন্যরা রেলগেট এলাকায় বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুর অফিসে আশ্রয় নেন। তাৎক্ষণিক ঘটনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে পুলিশ পিন্টুর অফিসের তালা ভেঙে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করে। তবে বডিঅন ক্যামেরা উদ্ধার হয়নি।
ইশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান বাসির ট্রাফিকের ওপর হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, জাকারিয়া পিন্টুর অফিসে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে টিএসআই জাহিদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী টনি বিশ্বাস বলেন, বিস্তারিত ঘটনা জানি না। শুনেছি পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন