অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় শ্বাস নিলেন নারী, নেওয়া হলো হাসপাতালে | Daily Chandni Bazar অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় শ্বাস নিলেন নারী, নেওয়া হলো হাসপাতালে | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০২৩ ১৮:১১
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় শ্বাস নিলেন নারী, নেওয়া হলো হাসপাতালে
অনলাইন ডেস্ক

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় শ্বাস নিলেন নারী, নেওয়া হলো হাসপাতালে

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক নারী। মৃত্যুর পর চলছিল অন্তেষ্টিক্রিয়া। সমাধিস্থ করার মাত্র কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ শোকার্ত স্বজনরা দেখতে পান, ওই নারী শ্বাস নিচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কফিন থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

আশ্চর্য্যজনক হলেও গত শুক্রবার (৯ জুন) লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে এমন ঘটনাই ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাধিস্থ করার আগে স্বজনরা বেলা মনতোয়া (৭৬) নামের ওই নারীর কাপড় বদলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ তারা দেখতে পান, কফিনের মধ্যে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন বেলা। কফিনের ঢাকনা খোলা থাকলেও পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তার।

সঙ্গে সঙ্গে মনতোয়াকে কফিন থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। ইকুয়েডরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন।

এক বিবৃতিতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই নারীর হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা একেবারে কমে গিয়েছিল এবং তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না। এ কারণে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বেলার ছেলে গিলবার রডোলফো বালবেরান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমার মাকে শুক্রবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরের দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য আমার মাকে কফিনে রাখা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, খোলা একটি কফিনে শুয়ে আছেন বেলা। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন তিনি। তার চারপাশে অনেক মানুষ ভিড় করে আছেন।

একপর্যায়ে প্যারামেডিক এসে মনতোয়াকে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপরই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরাই তাকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন।

বেলার ছেলে বালবেরান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এখন শুধু মায়ের জন্য প্রার্থনা করছি। মাকে আমি আমার পাশে চাই।

সূত্র: বিবিসি

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন