সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলে পশুবাহী গাড়ি থামানো যাবে না বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও হাইওয়ে পুলিশের প্রধান মো. শাহাবুদ্দিন খান। তিনি বলেন, পশুবাহী গাড়ির সামনে ও পেছনে গন্তব্য লেখা থাকবে। কেউ বাধা দিলে কোনোভাবে বরদাস্ত করা হবে না।
বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় এপিবিএন সদরদপ্তরে হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এক সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে এ সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সড়কে পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি করা হয়। সেই ব্যবসায়ীর কথার জের ধরে অতিরিক্ত আইজি বলেন, কোনো পশুরহাটে ভলান্টিয়াররা জোরপূর্বক বা বাধা দিয়ে গাড়ি ঢোকাতে পারবে না। এজন্য পশুবাহী প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পেছনে গন্তব্য লিখে রাখতে হবে। তাহলে কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সুযোগ থাকবে না। যারা যাত্রী আছেন, পরিবহন সংশ্লিষ্ট আছেন, চাঁদাবাজি হবে না, এটা নিশ্চিত থাকেন।
পশুবাহী ট্রাকে মাদক পরিবহন করা হয়- এমন অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট নজরদারি থাকবে। মাদককারবারিরা যাতে কোনো ধরনের সুযোগ না পায় সেজন্য আমাদের নজরদারি ও তদারকি থাকবে।
সভায় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মোজাম্মেল হক, ডিএমপি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান, শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশ চন্দ্র ঘোষ, বিভিন্ন গার্মেন্টসের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন