আজ ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। প্রতি বছর এ দিনে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিবসটি পালন করা হয়।
উদ্বাস্তু বা শরণার্থীদের অধিকার, তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা, নিপীড়ন, অত্যাচার ও দুর্দশার কাহিনি স্মরণে ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর ২০ জুন দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দিবসটি নানা আঙ্গিকে পালন করা হয়।
জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন প্রতি ৭৭ জনের একজন শরণার্থী। গত এক দশক ধরে প্রতি বছর শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
ইউএনএইচসিআর গত ১৪ জুন তাদের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেন এবং সুদানের যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১১ কোটিতে পৌঁছেছে। যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে লাখ লাখ মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
সংস্থাটি জানায়, গত বছর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। প্রায় এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ নিজ দেশ এবং বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, আট সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা সুদানের সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে এবং তা কমপক্ষে ১১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
মিয়ানমারে নির্যাতনে শিকার হয়ে বাংলাদেশেও আশ্রয় নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী। মিয়ানমারের সেনা নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নেন। এছাড়া এর আগে থেকেই আরও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে। এদের মধ্যে ভাষানচরে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে সরকার। যেখানে তারা উন্নত সুবিধা পাচ্ছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন