দেশে অনির্বাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী | Daily Chandni Bazar দেশে অনির্বাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৩ জুন, ২০২৩ ১১:১৯
দেশে অনির্বাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক

দেশে অনির্বাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

দেশে অনির্বাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপির পাশাপাশি জাতীয় পার্টিও আগামী নির্বাচনে আসবে না। তারাসহ বিরোধীরা নির্বাচনের পর অনাস্থা প্রকাশ করে আন্দোলন করবে। এরমধ্য দিয়ে অনির্বাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্ববাসীকে কথা দিয়েছি, চ্যালেঞ্জ দিয়েছি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবো। সে চ্যালেঞ্জ আমাদের ওভারকাম করতে হবে। সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।

দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। আমাকে উৎখাত করাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। শেখ হাসিনাকে সরানো সম্ভব হবে না এটাও জেনে গেছে তারা। তাই আমার ভাবমূর্তি ও অর্জন কলুষিত করতে চায়। আওয়ামী লীগকে পচাতে চায়।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৃহস্পতিবারের সভায় দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ্য জানান।

ওইদিন গণভবনে সকাল ১০টা থেকে টানা দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হয়। এতে সাংগঠনিক সম্পাদকদের রিপোর্ট পেশ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ও দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে নানা আলোচনা হয়।

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচন আগের মতো করে হবে এ স্বপ্ন যারা দেখে বসে আছেন, তারা মনোনয়ন পাবেন এ আশা করার দরকার নেই। আগের ভোট আর হবে না। মুখ দেখে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না। বাবা-চাচা বা আত্মীয়স্বজনের রাজনীতি দেখেও মনোনয়ন দেবো না আমি। যিনি প্রার্থী হবেন তার রাজনীতি, তার দক্ষতা ও যোগ্যতাই শুধু বিবেচনায় নেওয়া হবে। আমি জরিপ করছি। যারা টাকা দিয়ে জরিপে নাম আনার ব্যবস্থা করবেন, তারাও জেনে রাখেন রিপোর্ট দেখলেই আমি বুঝি, কোনটা টাকা দিয়ে হয়েছে, কোনটা প্রকৃত অবস্থা।

সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করার সময় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের আধিপত্যের কারণে যে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেটা জানানো হয় শেখ হাসিনাকে। এসময় তিনি বলেন, তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া যাবে না। তারা ভালো খাবার দেয় না, টাকা দিতে পারে না তাই তাদের বাদ দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ক্ষমতায় থেকে সুবিধাবাদীরা দুঃসময়ে চলে যাবে।

বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলের আন্দোলন বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই মিলে তাদের মোকাবিলা করতে হবে। নির্বাচন পণ্ড করার বিপরীতে আওয়ামী লীগের কাজ হলো সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন