পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে এক লোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানের একটি রাস্তা থেকে ১২ বছর বয়সী এক এতিম কিশোরীকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। এরপর গত শুক্রবার সংঘবদ্ধভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়। সোমবার (২৬ জুন) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভুক্তভোগীর দাদার বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী তার দাদা-দাদির সঙ্গে বসবাস করে। শুক্রবার যখন কিছু কেনাকাটা করতে পাশের দোকানের উদ্দেশে যায় তখন রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

নির্যাতিতার দাদা মোহাম্মদ রমজানের অভিযোগেরভিত্তিতে সেখানের বিমানবন্দর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।

অভিযোগে বলা হয়েছে, দোকানে যাওয়ার উদ্দেশে ঘর থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি ১২ বছর বয়সী কিশোরীটি। এমনকি ওই দিন মধ্যরাত পর্যন্ত তার খোঁজ পওয়া যায়নি। পরবর্তীসময়ে যখন ফিরে আসে তখন সে শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল।

কিশোরী তার দাদাকে জানায় তিনজন তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগীকে এরই মধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। সেখানের মেডিকেল কর্মকর্তা প্রাথমিক লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন, মেয়েটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন