পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। কোরবানির পশুর হাটগুলোর ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সব বিপণিবিতান, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি সব লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক পত্রে ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নিরাপত্তা নির্দেশনায় বলা হয়, বিগত ঈদুল ফিতরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএমপি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারবাহিকতায় আমরা ঈদুল আজহার বিস্তারিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ডিএমপির জনবল স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশি টহল বাড়ানোসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হয় তাহলে পুলিশ এবং ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান এর যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব।
সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আসন্ন ঈদে প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
১। নিজস্ব প্রতিষ্ঠান/আবাসন/অ্যাপার্টমেন্ট/বিপণিবিতানগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করা এবং যে কোনো ধরনের অবৈধ প্রবেশ রোধে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারক করার জন্য মার্কেট মালিক সমিতি/ ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি কর্তৃক তদারকি কমিটি করে ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন।
২। দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা করা।
৩। প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/আবাসনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা।
৪। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা/কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা, যাতে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে পারেন।
৫। সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণ করা ভিডিও হার্ড ডিস্কে ঠিকমত রেকর্ড হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা।
৬। দায়িত্বরত গার্ড এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে কাছাকাছি থানা, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং পুলিশ কন্ট্রোলরুমের মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোনের নম্বর রাখা, যাতে যে কোনো দুর্ঘটনা/অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো যায়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন