জিআই স্বীকৃতি পেল আরও চার পণ্য | Daily Chandni Bazar জিআই স্বীকৃতি পেল আরও চার পণ্য | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৫ জুলাই, ২০২৩ ১৬:২৪
জিআই স্বীকৃতি পেল আরও চার পণ্য
অনলাইন ডেস্ক

জিআই স্বীকৃতি পেল আরও চার পণ্য

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম। এ নিয়ে দেশের সর্বমোট ১৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) ২৬ জুনের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপিডিটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন হয়। ২০১৫ সালে আইনের বিধিমালা তৈরির পর জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিতে আহ্বান জানায় ডিপিডিটি। এর পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৬ সালে স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি।

এরপর একে একে স্বীকৃতি পেয়েছে ইলিশ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম। নতুন করে এ তালিকায় যুক্ত হলো বগুড়ার দইসহ চার পণ্য। এখন থেকে পণ্যগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।

ডিপিডিটি সূত্র জানায়, এখনো আরও অন্তত ২৪টি পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আবেদন প্রক্রিয়াধীন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম, কুষ্টিয়ার তিলেখাজা, কুমিল্লার রসমালাই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, নোয়াখালীর মহিষের দুধের দই, লতিরাজ কচু, সোনালি মুরগি, সাবিত্রী রসকদম, চাচুরি বিলের কৈ মাছ, নাক ফজলি আম, সুন্দরবনের মধু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, জামালপুরের নকশিকাঁথা, ফুটি কার্পাস তুলা প্রভৃতি।

কোনো একটা দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। শুধু বাংলাদেশেই উৎপাদিত হয় এমন ১৫টি পণ্য আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ থেকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য কোনো দেশে নয়, এই পণ্যগুলো শুধু বাংলাদেশেই উৎপাদন করা সম্ভব।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন