প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ (পিএমএফ) পেয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৩৮ জন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ১০ জন পিএইচডি গবেষক। রোববার (৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিআইইউ’র মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল লতিফ।
মাস্টার্স ও পিএইচডি ফেলোদের পক্ষে যথাক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. শিবলী ইসলাম এবং গণস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহকারী আফিফা আনজু তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এ নিয়ে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য এ পর্যন্ত ২৭৭ জনকে মাস্টার্স ও ১০৮ জন পিএইচডি ফেলোকে এ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এ বৃত্তি পেতে হলে আবেদনকারীকে আগে নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০ র্যাংকিংয়ের মধ্যে থাকা যে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হয়। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গর্ভন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) আওতায় এ বৃত্তির জন্যে আবেদন করতে হয়।
সব খাতে সম্পদের সক্ষমতা উন্নয়ন ঘটাতে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী এ ফেলোশিপ চালু করেন। জিআইইউকে পিএমএফ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস ও নন-বিসিএস এবং বেসরকারি প্রার্থী এ তিন ভাগে ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বৃত্তি পাওয়া এসব ফেলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন