সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে তিতাসের ৬ হাজার ৭০১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে সরকারি বকেয়া ১ হাজার ৬৫৭ কোটি ৪৪ লাখ এবং বেসরকারি বকেয়া ৫ হাজার ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
সোমবার (১০ জুলাই) অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এ তথ্য জানায়। কারওয়ান বাজার নিজস্ব ভবনের অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিল বকেয়া রাখে। আমরা চাইলেও কিছু করতে পারি না। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের কাছ থেকে টাকা না পেলে আমাদের কীভাবে দেবে। আমরা যদি টাকা না পেয়ে লাইন কেটে দেই তাহলে দেশের ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় এমপিদের দৌরাত্ম্য থাকায় এবং তাদের সহযোগিতা না পাওয়ায় আমরা অবৈধ গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারি না। আবার অনেক এলাকার এমপি-মন্ত্রীরা অবৈধ গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় আমাদের সহযোগিতা করে থাকে।
এ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তিতাসের কিছু লোক জড়িত, তবে বেশিরভাগই বাইরের লোক। এখন পর্যন্ত আমরা তিতাসের ৮ জনকে বরখাস্ত করেছি। এ পর্যন্ত সর্বমোট ২২৮ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, মোবাইল কোর্ট ও নিজস্ব জনবল দ্বারা এ পর্যন্ত তিতাস মোট ২৯ হাজার ৭৪৬টি স্পটে ২৮ হাজার ৩৯৮টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ৬৬৮.৫০ কিলোমিটার অবৈধ লাইন, অবৈধ সসংযোগ ও বকেয়ার কারণে ৬ লাখ ২ হাজার ৮৮৪টি গ্যাস সংযোগ এবং অন্যান্য শ্রেণির ১ হাজার ৯১ টি সংযোগসহ সর্বমোট ৬ লাখ ৩ হাজার ৯৭৫ টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন