নন্দীগ্রামে অফ সিজিন তরমুজ চাষে কৃষক গফফারের চমক | Daily Chandni Bazar নন্দীগ্রামে অফ সিজিন তরমুজ চাষে কৃষক গফফারের চমক | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২৩ ২২:৫৮
নন্দীগ্রামে অফ সিজিন তরমুজ চাষে কৃষক গফফারের চমক
নন্দীগ্রাম থেকে ফজলুর রহমান.

নন্দীগ্রামে অফ সিজিন তরমুজ চাষে কৃষক গফফারের চমক

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৫০শতক জায়গায় অফ সিজিন তরমুজ চাষ করে গফফারের ভাগ্যবদল, চোখে মুখে দেখা দিয়েছে স্বপ্ন পুরুনের হাত ছানি। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রাম পশ্চিম পাড়ার আলহাজ্ব আয়েত আলী ছেলে গফফার। কৃষি প্রেমী এই গফফার লেখা পড়া জিবন শেষ করে চাকুরির পিছনে না ছুটে ঝুঁকে পড়েন কৃষিতে। পরিকল্পনা করেন কৃষি বিল্পব ঘোটানোর। তাই বাড়িতে বসে না থেকে  ২০২০ সালে ৬শতক জায়গার উপর তিপ্তি ও ব্লাক বেবী জাতের তরমুজ চাষ করে লাভের  মধ্য দিয়ে শুরু করেন তার কৃষি জিবন। কৃষিকে আরো ভাল করে জানার জন্য ২০২২ সালে শুরুতে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রেনিং নিয়ে প্রথম পর্যায়ে ৪৫ শতক জমিতে টমেটো, ৩০ শতকে মরিচ,এবং ৩৩ শতক জমিতে কপি চাষ করে বাজারে বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে লাভের মুখ দেখেন গফফার। এরপর ঝুঁকি নেনে অফ সিজিন তরমুজ চাষে। ছুঠে যান বগুড়া বীজ উৎসব বীজ ভান্ডারে, সেখান থেকে প্রায় ২৫শ চারা ক্রয় করে  মালচিং পদ্ধতিতে  ৫০ শতক জায়গার উপর ২০২৩ সালের মে মাসের ২২ তারিখে বীজ বপন করেন। এই তরমুজ চাষে ৫০ শতক জমির উপর এপ্রর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। বীজ বপনের ৬০থেকে ৬৫ দিনের মধ্য ফল সংগ্রহ করা যায়। সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাথায় গামছা বেঁধে তরমুজের জমিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন, বাবা ও ছেলে। গফফার তার ৫০ শতক জমিতে মধুমালা, তৃপ্তি, ব্লাক কিং, ব্লাক বেবী সহ ৪টি জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজ চাষি গফফারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি পড়াশোনা শেষ করে চাকুরির পিছনে না ছুটে ২৫শ তরমুজের বীজ ক্রয় করে ৫০ শতক জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী মালচিং পদ্ধতিতে বীজ বোপন করেছিলাম। ইতোমধ্যই গাছে ফল ধরে পাকতে শুরু করেছে আর ১সপ্তাহ পর ফল সংগ্রহ করতে পারবো। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় এবং বাজারে ফলের দাম ভালো পেলে ২/৩ লক্ষ টাকা বিক্রয় করতে পারবো বলে আশা করছি। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষিবিদ আদনান বাবু জানান,  অফ সিজিনি তরমুজ ব্যাপক লাভজনক একটি ফসল, এই তরমুজ চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় এই উপজেলার অনেকেই ঝুকছেন এই তরমুজ চাষে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন